কক্সবাজারে অগ্নিকান্ডে ২ জনের মৃত্যু
কক্সবাজারের রামু উপজেলা গর্জনিয়া বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ২ জনের করুণ মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন, মুদি দোকানদার ফিরোজ আহমদ (৫৩) ও ওই দোকানের কর্মচারি আনোয়ার হোসেন (১৬)। ফিরোজ আহমদ কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ছোট জামছড়ি এলাকার লাল মিয়ার ছেলে এবং কর্মচারি আনোয়ার হোসেন একই ইউনিয়নের শুকমনিয়া গ্রামের নুর কাদেরের ছেলে। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে অগ্নিকান্ডে ৪টি দোকান পুড়ে যায় । অন্যদিকে এ অগ্নিকান্ডে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যবসায়িরা জানিয়েছেন।
গর্জনিয়া বাজারের ব্যবসায়ি নুরুল কবির জানান, নিহত ফিরোজ আহমদের মুদির দোকান থেকে আকষ্মিক অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। মূমূর্তেই আগুন আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে রামু এবং কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস এর কর্মীরা রাত আড়াইটার দিকে এসে আগুন নিয়ন্ত্রন আনার চেষ্টা করেন। রাত তিনটার আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও ততক্ষণে ৪টি দোকান পুড়ে যায়।
এদিকে ফিরোজ আহমদের দোকানের সামনে রাখা মোটর সাইকেলটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ব্যবসায়িদের ধারনা দোকান মালিক ফিরোজ আহমদ ও এক কর্মচারী দোকানের ভেতরে ছিলেন। অগ্নিকান্ডের পর থেকে তাদের হদিস না পাওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের দমকল কর্মীরা ওই দোকানে গিয়ে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে। কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ইসমাইল মো. নোমান ২ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ফিরোজ আহমদের মুদির দোকান, দিল মোহাম্মদের ওয়ার্কশপ, আবদুল করিমের চাউলের দোকান, মনির আহমদের চাউলের দোকান ও রয়েছে। ব্যবসায়িরা জানান, এই ৪টি দোকানই বাজারের বৃহৎ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। এসব দোকানের মালামালও ছিলো প্রচুর।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে যান, রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা, রামু থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল খায়ের, ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান, কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ইসমাইল মো. নোমান।
রাত সাড়ে ৩টায় নিহত ২ জনের মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এসময় রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।
এদিকে ভয়াবহ এ অগ্নিকান্ডে বাজারের স্বনামধন্য ব্যবসায়ি ফিরোজ আহমদ ও একই দোকানের কর্মচারি আনোয়ার হোসেনের করুণ মুত্যুতে গর্জনিয়া বাজার সহ পুরো এলাকায় শোকাবহ পরিবেশ বিরাজ করছে।