ঈদের আগেও হতে পারে এসএসসি পরীক্ষা
রোববার (১৯ জুন) থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। কিন্তু দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় এ পরীক্ষা স্থগিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। কবে পরীক্ষা শুরু হবে, তা জানে না শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
যদিও বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেই আবার এ পরীক্ষার নতুন সময়সূচি প্রকাশ করা হবে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
তিনি বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে যদি বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়ে যায়, তাহলে ঈদের আগেও পরীক্ষা শুরু হতে পারে। বিষয়টি নির্ভর করছে পরিস্থিতির ওপর। এদিকে, এসএসসি পরীক্ষা বেশি পিছিয়ে গেলে পেছাতে পারে এইচএসসি পরীক্ষার সময়সূচিও।
তিনি আরও বলেন, ‘এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার মধ্যে মোটামুটি দুই মাসের একটি বিরতির প্রয়োজন হয়। না হলে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়া কঠিন হয়ে পড়ে। সে ক্ষেত্রে এইচএসসি পরীক্ষা কিছু সময় পিছিয়ে যেতে পারে।’
এর আগে, সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো তথ্যে জানানো হয়েছিল, দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ১৯ জুন অনুষ্ঠেয় সব শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি জেনারেল, এসএসসি ভোকেশনাল এবং দাখিল পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পরীক্ষার পরিবর্তিত সময়সূচি পরে জানানো হবে বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
জানা গেছে, সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীন চার জেলায় ১ লাখ ১৬ হাজার ৪৭৩ এসএসসি পরীক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে বন্যাকবলিত জেলা সিলেটে রয়েছে ৪৩ হাজার ৮৪৪ জন ও সুনামগঞ্জে ২৩ হাজার ৭৫২ জন। চার জেলায় পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে ১৪৯টি। এর মধ্যে সিলেট ও সুনামগঞ্জে ৯২টি।
এদিকে সিলেট ও সুনামগঞ্জের ৯টি উপজেলার ২৩টি পরীক্ষা কেন্দ্র পানিতে তলিয়ে গেছে। পানির নিচে দুই জেলার সাড়ে চারশরও বেশি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা। এ অবস্থায় অনেকে দাবি তোলেন, এলাকায় যেসব বহুতল স্কুল ভবন আছে, সেগুলোকে যেন অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র বানানো হয়।
তারা জানান, পরীক্ষা তো পরেও নেয়া যাবে। মানুষের জীবন যদি না বাঁচে, তাহলে তো আর পরীক্ষা নেই। একটি করে স্কুল ছেড়ে দিলেও অন্তত ২৫০ থেকে ৩০০ মানুষ সেখানে আশ্রয় নিতে পারবে।
Like
Like
Love
Haha
Wow
Sad
Angry