fbpx
হোম আন্তর্জাতিক ইসরায়েল-বাংলাদেশ সম্পর্ক গড়ার সম্ভাবনা কতটুকু ?
ইসরায়েল-বাংলাদেশ সম্পর্ক গড়ার সম্ভাবনা কতটুকু ?

ইসরায়েল-বাংলাদেশ সম্পর্ক গড়ার সম্ভাবনা কতটুকু ?

0

ফিলিস্তিন ইস্যুতে শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের বহু মুসলিম দেশের সঙ্গেই সম্পর্ক নেই ইসরাইলের। তবে পাসোপোর্টে নিষেধাজ্ঞা লিখে রাখা দেশ শুধু বাংলাদেশই। শুরু থেকেই ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে বজ্রকণ্ঠ বাংলাদেশ।

বাংলাদেশি পাসপোর্ট হাতে নিলেই আপনি দেখতে পাবেন, ইসরাইল ছাড়া যে কোনো দেশের জন্য এটা প্রযোজ্য। অথাৎ স্পষ্ট করে এ দেশের নাগরিকদের জানিয়ে দেয়া হয়, এই একটি দেশ আছে পৃথিবীতে যাদের সঙ্গে কোনো রকম সম্পর্ক রাখা চলবে না।

তবে সম্প্রতি ইসলামিক দেশগুলোর মধ্যে বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ইসরাইল কূটনীতিক সম্পর্ক স্থাপন করায়, কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশের সঙ্গে কি ইসরাইলের সম্পর্ক স্থাপনের কোনো সম্ভাবনা রয়েছে ?

সম্প্রতি গ্লোবাল ডিফেন্স করপো নামে একটি আন্তর্জাতিক অনলাইন এ বিষয়ে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে। ‘টাইম হ্যাজ কাম ফর বাংলাদেশ রিকগনাইজেস ইসরাইল আফটার ইউএই অ্যান্ড বাহরাইন’ শিরোনামে লেখায় ইসরাইলের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক স্থাপনের বেশ কিছু সম্ভাবনা যাচাই করা হয়। এ লেখায় দুটি বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া হয়।

এক, দেশ স্বাধীনের পরপরই যে কটি দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়, তাদের মধ্যে ইসরাইল শুরুতেই ছিল। দুই, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতিতে সবার সঙ্গে বন্ধুত্বের কথা থাকায় ইসরাইল হয়তো এ সুযোগটা নেয়ার চেষ্টা করবে।

ফিলিস্তিন ইস্যুতে আপত্তি থাকলেও ওআইসি ও আরব দেশের অনেকে এখন ইসরাইলের সঙ্গে বন্ধুত্ব করছে। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মরোক্কো তাদের সঙ্গে সরাসরি বিমান যোগাযোগ চালু করেছে।

এদিকে মিশর ১৯৬৯ সালে এবং জর্দান ১৯৯৪ সালে ইসরায়েলের সাথে কুটনীতিক সম্পর্ক তৈরি করে। চলতি বছরের ১৩ আগস্ট সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর ১১ সেপ্টেম্বর বাহরাইন তাদের সঙ্গে সম্পর্কের ঘোষণা দেয়।

সম্পর্ক স্থাপনের কারণ হিসেবে তারা বেশ কটি সম্ভাবনা তুলে ধরেছে। এ দেশের পররাষ্ট্র নীতিতে কারো সাথে শত্রুতা তৈরি না করার বিষয়টিকে তারা সামনে রেখেছে। ১৯৭২ সালেই ইসরাইল বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তাদের সব সময় পজিটিভ অবস্থান আছে বলেও মনে করে গ্লোবাল ডিফেন্স করপো।

চলতি মাসেই মার্কিন ডিফেন্স সেক্রেটারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করায় ট্রাম্পের চেষ্টার বিষয়টি আবারও আলোচনায় আসে। টেলিফোনের বিষয় হিসেবে ইন্দো প্যাসিফিক স্ট্যাটেজি এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা বলা হলেও ট্রাম্প প্রশাসনের কোনো বার্তা থাকতে পারে বলেও অনেকে মনে করছেন।

তবে অনলাইনটি তাদের পর্যবেক্ষণে বলছে, এর আগেও প্রমাণিত হয়েছে, বাংলাদেশ সাধারণত এ ধরনের চাপের কাছে নতি স্বীকার করে না। এ দেশের জনগণের মধ্যে ইসরাইল বিদ্বেষের বিষয়টি এতই প্রকট যে, অন্য কোনো ইস্যুতে একমত হতে না পারলেও ইসরাইল ইস্যুতে এদেশের সব রাজনৈতিক দলই একমত।

এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতে ফিলিস্তিনের কিংবদন্তি নেতা ইয়াসির আরাফাতের সঙ্গে তার সখ্য এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি তার বিশেষ দরদের কথা বিশ্বের অনেকেই জানে। বরাবরই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহলে ফিলিস্তিনের পক্ষে তাই সুস্পষ্ট অবস্থান জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry
5

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *