fbpx
হোম আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট হালাল হলো যেভাবে!
ইন্টারনেট হালাল হলো যেভাবে!

ইন্টারনেট হালাল হলো যেভাবে!

0

মালয়েশিয়া বিশ্বের প্রথম দেশ, যেখানে ১৯৭৪ সাল থেকে সরকারের তত্ত্বাবধানে হালাল পণ্য নির্ধারন করে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। এমনকি আমদানি করা পণ্য পরীক্ষা করে হালাল সার্টিফিকেট দিয়ে থাকে সরকারি কর্তৃপক্ষ। মালয়েশিয়ায় হালাল সনদ নিয়ে হাজারো শিল্প কারখানা গড়ে তুলেছে উদ্যেক্তারা। যে কারণে দেশটিকে বলা হয়  বিশ্বের সর্ববৃহৎ  হালাল পণ্যের হাব।

হালাল চর্চার প্রক্রিয়ায় এবার যুক্ত হতে যাচ্ছে  ইন্টারনেট! মালয়েশিয়ার একটি প্রতিষ্ঠান নতুন এক ওয়েব ব্রাউজার এনেছে। ‘সালামওয়েব’ নামের এই ব্রাউজারকে মুসলিম বান্ধব ব্রাউজার হিসেবে দাবি করছে প্রতিষ্ঠানটি—যাকে বলা হচ্ছে ‘হালাল ইন্টারনেট’!
অনলাইনে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনসহ নানা আশঙ্কার মধ্যে নতুন এই ব্রাউজার দারুণ কাজে দেবে বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

সালামওয়েব ব্রাউজার মোবাইল ও ডেস্কটপ কম্পিউটারে ব্যবহার করা যাবে। নতুন এই ব্রাউজার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সালাম ওয়েব টেকনোলোজিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসনি জারিনা মোহাম্মদ খান বলেন, এতে সংবাদ, মেসেজ ও অন্যান্য সুবিধা যুক্ত রয়েছে। মূলত মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়াভিত্তিক বিষয়াদি পাবেন গ্রাহকেরা। তিনি বলেন, বিশ্বের ১৮০ কোটি মুসলিম জনগোষ্ঠীর ১০ শতাংশকে গ্রাহক হিসেবে পাওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছেন। এই ব্রাউজার তৈরি করতে গিয়ে তাঁরা ফেসবুক-গুগলের মতো জায়ান্ট কোম্পানিগুলোর সমালোচনার মুখেও পড়েছেন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও তাঁদের এই উদ্যোগের সমালোচনা করেছে।
হাসনি জারিনা মোহাম্মদ খান বলেন, তাঁদের লক্ষ্য হলো ইন্টারনেট প্ল্যাটফরমকে একটি ভালো জায়গা হিসেবে তুলে ধরা। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি ইন্টারনেটে ভালো ও মন্দ—উভয় ধরনের কনটেন্ট রয়েছে। আমাদের ব্রাউজারটি এমন করে তৈরি করার চেষ্টা করেছি, যাতে মানুষজন ভালো কনটেন্টগুলোই পান।’ তিনি আরও বলেন, এই ব্রাউজার কনটেন্ট ফিল্টারিং করবে। পর্নোগ্রাফি বা জুয়ার কোনো ওয়েবসাইটে ঢোকার চেষ্টা করলে সতর্ক করে দেওয়া হবে গ্রাহককে। এ ছাড়া মুসলিমদের ধর্মচর্চা সহজ করার জন্য নামাজের সময় জানিয়ে দেওয়ার মতো বিষয়গুলো থাকবে এতে।
হাসনি জারিনা মোহাম্মদ খান আরও বলেন, ‘আমরা মুসলিমদের টার্গেট করে এই ব্রাউজার তৈরি করলেও আমাদের লক্ষ্য হলো সর্বজনীন মূল্যবোধকে উৎসাহিত করা। তাই যে কেউ এটা ব্যবহার করতে পারেন। ইন্টারনেট দিন দিন ক্ষতিকর হয়ে উঠছে—তাই আমাদের বিকল্প কিছু প্রয়োজন।’

উল্লেখ্য, ১৯৭৪ সালে মালয়েশিয়া প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের অধীনে ইসলাম বিষয়ক  রিসার্স সেন্টার  হালাল সার্টিফিকেট প্রদান  শুরু করে। পরবর্তীতে একে প্রাতিষ্ঠানিকিকরণ করা হয়।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry
1

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *