আহমদ শফীর সঙ্গে বিতর্কে বসতে চান তরিকত ফেডারেশন
পবিত্র কুরআন, সুন্নাহ, পীর মাশায়েখ ও বিভিন্ন ইসলামি বিষয়ে হাটহাজারীর মাওলানা আহমদ শফীর ‘কটূক্তি ও কুরুচিপূর্ণ’ বক্তব্যের প্রতিবাদে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন (বিটিএফ) ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত, বাংলাদেশ। গতকাল বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় তরীকত ফেডারেশন ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আতের পক্ষ থেকে মাওলানা আহমদ শফীকে তার বক্তব্য নিয়ে সম্মুখ বিতর্কে আসার আহ্বান জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, হেফাজত আমির মাওলানা আহমদ শফীসহ সালাফী ও জামায়াতপন্থি অনেকেই ইসলামের সঠিক রূপরেখা পরিপন্থি মতবাদ প্রচার করে এ দেশের সুন্নি মুসলমানসহ পুরো মুসলিম জাতিকে বিভ্রান্ত করছে। সঠিক ইসলাম ও আক্বীদা থেকে মানুষকে বিচ্যুত করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য। মাওলানা আহমদ শফী তার ‘সুন্নাত-বিদআতের সঠিক পরিচয়’ বইয়ে লিখেছেন, মোটকথা পবিত্র রওজা মোবারকে নবী করীম সা. এর সামনে ছাড়া অন্যান্য দূরবর্তী স্থানে, নবী সা. কে হাজির নাজির মনে করে ঐ সকল বাক্যে আহ্বান করা নিঃসন্দেহে শিরক।
বিভিন্ন সময়ে তাদের কয়েকজন বলেছেন, কলেমায় আল্লাহ ও রাসুলে পাক সা. এর নাম একসঙ্গে লেখা যাবে না। রাসুলে পাক সা. নিরক্ষর। এছাড়াও জাতীয় সংগীত দিবস, শহিদ মিনার, স্মৃতিসৌধকে তারা শিরক বলে উল্লেখ করেছেন। তাদের এমন ধর্মীয় উগ্রতা ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর বিরুদ্ধেই আমাদের অবস্থান। এ বিষয়ে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সুদৃষ্টি ও পদক্ষেপ কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলন শেষে এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান আলহাজ সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী বলেন, আপনারা আপনাদের দলিল নিয়ে আসেন, আমরাও আমাদের দলিল নিয়ে বসছি। সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, রাজনীতি রাজনীতির জায়গায়, ধর্ম ধর্মের জায়গায়। যার যার ধর্ম তার তার।
এ সময় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া সরকারের কর্তব্য। তাদের কাজ এই সমস্যাগুলো সমাধান করা। তারা যদি ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আমরা মামলা করে যাব।
সংবাদ সম্মেলনে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত বাংলাদেশের মহাসচিব হযরতুল আল্লামা আবুল কাশেম নুরী বলেন, আপনারা আসুন, আমরা সামনা-সামনি বসতে চাই, সমস্যার সমাধান করতে চাই। আর এর মধ্য দিয়ে জাতিকে অশান্তির হাত থেকে রক্ষা করতে চাই।