fbpx
হোম বাণিজ্য আসবে পর্যটক কিন্তু যেই জেটি সেই জেটি
আসবে পর্যটক কিন্তু যেই জেটি সেই জেটি

আসবে পর্যটক কিন্তু যেই জেটি সেই জেটি

0

তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে ভাঙ্গাচোরা জেটি দিয়ে স্বপ্নের সেন্টমার্টিন যাচ্ছে পর্যটকরা। ইতোমধ্যে যাতায়াত শুরু করছে পর্যটক প্রমোদতরণী কেয়ারী সিন্দাবাদ, কেয়ারী ক্রুজ এন্ড ডাইন, দ্যা আটলান্টিকসহ পর্যটকবাহী জাহাজগুলো। তবে, ঝুঁকিপূর্ণ জেটিটির বারবার সংস্কারের দাবী উঠলেও যেই জেটি সেই জেটিই রয়ে গেল। তবুও শংকা নিয়েই আনন্দ ভ্রমনে সেন্টমার্টিন ভীড়বে দেশবিদেশী ভ্রমনপ্রিয়সীরা।

ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাকৃতিক সম্পদ ও সম্ভাবনায় ভরপুর সাগর-নদী-পাহাড় ঘেরা সীমান্ত শহর টেকনাফ এবং দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন। স্বাধীনতার এতো বছর পরেও আধুনিক ও পরিকল্পিত পর্যটন শহর হিসেবে গড়ে ওঠেনি। অথচ পরিকল্পিত উপায়ে আধুনিক পর্যটন শহর হিসেবে গড়ে তোলা হলে তা শুধু দেশে নয়, গোটা দুনিয়া জুড়ে খ্যাতি অর্জন হতো।

কারণ সাগর-নদী-পাহাড়-সমুদ্র সৈকত-প্রবালদ্বীপগুলোর অপার সম্ভাবনা আর প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর সব কিছুর সমন্বয়ে এমন পর্যটন অঞ্চল বিশ্বে কমই আছে। তবে তখন দেরিতে হলেও সরকার পরিকল্পিত পর্যটন নগরী হিসাবে গড়ে তুলতে সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত প্রায় ৮০ হাজার একর জমি নিয়ে মাস্টারপ্ল্যানের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়।

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের শহর কক্সবাজার ও দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে পর্যটন শিল্পের প্রসার শুরু হয় মূলত কয়েক যুগ আগে থেকেই। বিপুলসংখ্যক পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত কক্সবাজার, টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে দেখা দেয় আবাসন, বিনোদনসহ নানা সংকট। আর এই সুযোগে পর্যটকদের সুবিধা দিতে কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত গড়ে উঠেছে শত শত বহুতল ভবন।

তবে সরকার বেশকিছু জোনের কাজ শুরু করেছে। দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনের সাগরের তলদেশে রয়েছে মনোমুগ্ধকর বিচিত্র প্রাণী ও হরেক রকম জীব। রয়েছে নানান আকারের পাথরের স্তুপ, দুর্লভ প্রবাল, পাথরের ফুল। সাগরের জলরাশি ও সৌন্দর্যে ভরা বিচিত্র জীব-প্রাণী যেন হাতছানি দিয়ে ডাকে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের প্যানেল চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান খাঁন জানান, দ্বীপের মানুষ পর্যটকদের বরণ করতে সদাপ্রস্তুত। ‘অপূর্ব সুন্দর স্থান সেন্টমার্টিন দ্বীপ, স্বচ্ছ নীল পানিতে ঘেরা এই দ্বীপের মানুষও অসম্ভব ভালো। চুরি ডাকাতির রেকর্ড নেই। সারারাত ঘুরতে পারা যায় নির্ভয়ে-নির্জনে।’

কিন্তু এই কোলাহল নান্দনিক সেন্টমার্টিনের একমাত্র জেটিটি এখনো ভাঙ্গায় বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। এ অবস্থায় এবছরেও বেহাল দশায় পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-পরিচালক নয়ন শীল বলেন, ‘চলতি মৌসুমে এ নৌপথে চলাচলের জন্য ৫টি জাহাজ অনুমতি চেয়েছে। এর মধ্যে গত ২৩ অক্টোবর ৩টি জাহাজকে আগামী বছরের ১৫ মার্চ পর্যন্ত চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অনুমতি পাওয়া জাহাজ তিনটি হচ্ছে কেয়ারি সিন্দাবাদ, কেয়ারী ক্রুজ এন্ড ডাইন ও দ্যা আটলান্টিক ক্রুজ।

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারী সিন্দাবাদের একাউন্ট অফিসার আনোয়ার হোসাইন বলেন, ‘বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-পরিচালক চলতি মৌসুমে এ নৌপথে চলাচলের জন্য এ পর্যন্ত ৩টি জাহাজের অনুমতি দিলেও জেলা প্রশাসন থেকে অনুমতির কাগজপত্র বৃহস্পতিবার হাতে পাব বলে আশা করছি। আশা করছি অনুমতি প্রাপ্তির কাগজপত্র হাতে নিয়ে ১ নভেম্বর থেকে জাহাজ চলাচল শুরু করতে পারব। ‘
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রবিউল হাসান বলেন, ‘সাগর এখনও উত্তাল থাকায় স্থানীয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার কারণে এতদিন জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল। আবহাওয়া ভালো থাকলে নভেম্বর থেকে আবার পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এক্ষেত্রে জাহাজে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা।’

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *