fbpx
হোম আন্তর্জাতিক আজ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস
আজ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস

আজ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস

0

প্রতি বছর প্রতি মাসের নির্দিষ্ট কিছু দিনে বিভিন্ন দেশে কিছু দিবস পালিত হয়। নির্দিষ্ট দিনে অতীতের কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে স্মরণ করা বা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করতে এই সব দিবস পালিত হয়। বিশ্বের পালনীয় সেই সব দিবসগুলোর মধ্যে একটি হলো ‘ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস।’

প্রতি বছর ৮ সেপ্টেম্বর সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালিত হয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে জাতীয় পর্যায়ের পাশাপাশি জেলা পর্যায়েও দিবসটি উদযাপন করা হবে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো- ‘সাক্ষরতা শিখন ক্ষেত্রের প্রসার’।

সারা বিশ্বে ব্যক্তি, সম্প্রদায় ও সমাজের জন্য লেখাপড়ার গুরুত্ব ও ক্ষমতার বিষয়টি বোঝাতে এবং সাক্ষরতার গুরুত্ব তুলে ধরার জন্যই আজকের দিনটি পালন করা হয়। ইউনেস্কো ৮ সেপ্টেম্বর দিনটিকে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।

১৯৬৫ সালের ৮-১৯ সেপ্টেম্বর ইউনেস্কোর উদ্যোগে ইরানের তেহরানে বিশ্ব সাক্ষরতা সম্মেলন হয়। ঐ সম্মেলনে প্রতিবছর ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালনের প্রস্তাব করা হয়। পরে ১৯৬৬ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো ৮ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯৬৭ সালে ইউনেস্কো প্রথম এই দিবসটি উদযাপন করে।

আজকের পৃথিবীতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার মানুষকে শিক্ষিত করার সুযোগ বাড়িয়ে দিয়েছে অনেকাংশেই । কিন্তু বাস্তব চিত্রটা অন্য। বিশ্বের সমগ্র মানুষ আজও শিক্ষার আলো গ্রহণ করতে পারেনি। ইউনেস্কোর করা একটি সমীক্ষা অনুযায়ী নিজের পরিচয়ও লিখতে পারে না এমন মানুষের সংখ্যা ৭৫ কোটি। তাদের সাক্ষরতা দানের উদ্দেশ্যে ইউনেস্কো সারা বিশ্বে যারা লিখতে ও পড়তে পারেন না তাদের সাক্ষর করার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই দিবস পালন করে আসছে।

ইউনেস্কোর তথ্য বলছে, বহু দশক ধরে সাক্ষরতা অভিযান চালানোর পরও ভারতে আজও ২৮ কোটি ৬০ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ নিরক্ষর, যা ফ্রান্সের মোট জনসংখ্যারও চারগুণ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭৫ দশমিক ৬ শতাংশ। এখনো ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ সাক্ষরতার বাইরে। তাদের সাক্ষরতার আওতায় আনতে নানা ধরনের কর্মসূচি হাতে নেয়া হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, গত কয়েক বছরে দেশের ৬৪ জেলার নির্বাচিত ২৪৮টি উপজেলার ১৫-৪৫ বয়সী ৪৪ লাখ ৬০ হাজার নিরক্ষরকে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মাধ্যমে মৌলিক সাক্ষরতা জ্ঞান দেওয়া হয়েছে। এ কার্যক্রম শেষ হয়েছে গত ৩০ জুলাই। এর বাইরে পিইডিবি-৪ প্রকল্পের আওতায় স্কুল থেকে ঝরেপড়া ও স্কুলে যায়নি এমন ৬ লাখ শিক্ষার্থীদের মৌখিক শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। এরপর তাদের হাতে কাজে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, দেশে এখনও সাক্ষরতার কোনো রূপরেখা তৈরি হয়নি। কতটুক শিখলে সাক্ষরতা জ্ঞান অর্জন হবে তার একটি রূপরেখা করা হবে। দেশে চার কোটি মানুষের বেশি যারা এখনও সাক্ষরতার বাইরে রয়েছে। তাদের এর আওতায় আনা হবে।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *