fbpx
হোম আন্তর্জাতিক আজ আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস
আজ আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস

আজ আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস

0

আজ ২১ সেপ্টেম্বর, বুধবার আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস বা বিশ্ব শান্তি দিবস। এটি জাতিসংঘ-ঘোষিত একটি আন্তর্জাতিক দিবস, যা প্রতি বছর ২১ সেপ্টেম্বর পালিত হয়।

বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঘোষিত দিবসটির উদ্দেশ্য হলো পৃথিবী থেকে যুদ্ধ ও সংঘাত চিরতরে নিরসন; এবং সেই লক্ষ্যে পৃথিবীর যুদ্ধরত অঞ্চলসমূহে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের মাধ্যমে সেসব অঞ্চলে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া। দিবসটি ১৯৮১ সালে সর্বপ্রথম উদ্‌যাপিত হয়। বর্তমানে জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্র, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামরিক দলের সদস্য এবং বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন অঞ্চলের জনগণ যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করে থাকে।

প্রতিবছর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে “শান্তির ঘণ্টা” বাজানোর মধ্য দিয়ে দিবসটির উদ্‌যাপনের সূচনা হয়। বিশ্বব্যাপী (আফ্রিকা মহাদেশ ছাড়া) শিশুদের থেকে সংগৃহীত ধাতব মুদ্রা গলিয়ে নির্মিত এই ঘণ্টা জাপানের কার্যরত জাতিসংঘের সংগঠনসমূহ ১৯৫৪ সালে নিউ ইয়র্কের সদর দপ্তরে উপহার হিসেবে প্রদান করে। এই ঘণ্টা স্মরণ করিয়ে দেয়: “যুদ্ধের পরিণাম মানুষের মৃত্যু”। এছাড়া ঘণ্টাটির পার্শ্ববর্তী সড়কে ইংরেজিতে “স্থিতিশীল বৈশ্বিক শান্তি দীর্ঘজীবী হোক” বাণী খোদাই করা রয়েছে।

আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘একে অপরের সঙ্গে না লড়ে আমাদের উচিত প্রকৃত শত্রুকে পরাস্ত করতে একসঙ্গে লড়াই করা। আমাদের প্রকৃত শত্রু হলো বর্ণবাদ, দারিদ্র্য, অসমতা, সংঘাত, জলবায়ু সংকট ও কোভিড-১৯ মহামারি।’

বাণীতে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘অনেক প্রেক্ষাপটেই আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হচ্ছি।’

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘ সদর দপ্তর থেকে মঙ্গলবার বিশ্ব সংস্থাটির ঢাকা অফিসের মাধ্যমে এই বাণী পাঠানো হয়েছে।

বাণীতে গুতেরেস বলেন, ‘শান্তি একটি মহৎ ও অত্যন্ত প্রয়োজনীয় লক্ষ্য। সব মানুষের জন্য অপেক্ষাকৃত ভালো ও ন্যায্য বিশ্ব গঠনের মাধ্যমেই কেবল তা অর্জন সম্ভব। যদিও অনেক জায়গায়ই, অনেক প্রেক্ষাপটেই আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হচ্ছি।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘এ বছরের আন্তর্জাতিক শান্তি দিবসের প্রতিপাদ্য হলো– বর্ণবাদ বন্ধ হোক, শান্তি প্রতিষ্ঠা পাক। এই প্রতিপাদ্য আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে বর্ণবাদ অনেকভাবে মানুষের হৃদয় ও মনকে বিষাক্ত করে তোলে এবং আমরা যে শান্তির অনুসন্ধান করছি তা বিনষ্ট করে।

‘বর্ণবাদ মানুষের অধিকার ও মর্যাদা হরণ করে। এটি অসমতা ও অবিশ্বাসকে উসকে দেয়। এটি এমন এক সময় মানুষকে একে অপরের থেকে দূরে ঠেলে দেয়, যখন আমাদের একক মানব পরিবার হিসেবে ফাটল ধরা এই বিশ্বটাকে মেরামত করতে পরস্পরের আরও কাছে আসা উচিত।’

তিনি বলেন, ‘একে অপরের সঙ্গে না লড়ে আমাদের উচিত প্রকৃত শত্রুকে পরাস্ত করতে একসঙ্গে লড়াই করা। আমাদের প্রকৃত শত্রু হলো বর্ণবাদ, দারিদ্র্য, অসমতা, সংঘাত, জলবায়ু সংকট ও কোভিড-১৯ মহামারি।

‘যে অবকাঠামো বর্ণবাদকে টিকিয়ে রাখে তা ভেঙে ফেলা উচিত। আমাদের উচিত সর্বত্র মানবাধিকার আন্দোলনকে আরও জোরদার করা। একইসঙ্গে একতাবদ্ধ হয়ে বিদ্বেষপ্রসূত বক্তব্য ছড়ানো কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দেয়া এবং সত্য, বোঝাপড়া ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার জন্য জোরেশোরে আওয়াজ তোলা।’

জাতিসংঘ মহাসচিবের বাণীতে আরও বলা হয়, ‘গুরুত্বপূর্ণ এই দিবসে, যে সময়টায় ২৪ ঘণ্টার জন্য সহিংসতা বন্ধ থাকবে এবং যুদ্ধবিরতি চলবে, আমরা সব মানুষের প্রতি অস্ত্র নামিয়ে রাখার চেয়ে আরও বেশি কিছু করতে আবারও আহ্বান জানাচ্ছি।

‘মানুষ হিসেবে আমরা যে সংহতির বন্ধনে আবদ্ধ, তা পুনঃনিশ্চিত করতে এবং আরও সুন্দর, আরও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গঠনে কাজ শুরু করতে সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *