অর্ধেকে নেমেছে দাম, চামড়া চলে যাচ্ছে এতিমখানা-মাদ্রাসায়
কোরবানির পশুর চামড়া সরকারের বেঁধে দেওয়া দর মোতাবেক প্রায় অর্ধেক দামে নেমে এসেছে। রাজধানীতে এবার প্রতি বর্গফুট কাঁচা চামড়া মাত্র ১৫-২০ টাকায় কেনা-বেচা হচ্ছে। আর এর জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কেই দুষছেন ট্যানারি ব্যবসায়ীরা।
গতছর ঢাকায় প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম ছিল ৪০-৪৫ টাকা। অথচ এ বছর লবণজাত একই গরুর চামড়ার দাম সরকার বেঁধে দেয় ৩৫-৪০ টাকা। রাজধানীতে চামড়ার বৃহত্তম আড়ৎ পোস্তায় প্রতিপিস চামড়া গড়ে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর আমিনবাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। এই দুই জায়গার সাড়ে তিন শ আড়তেই একই দামে কেনাবেচা হচ্ছে। তবে, রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকার অস্থায়ী হাটে বড় আকারের ভালো মানের চামড়া ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকাতেও বিক্রি হচ্ছে। যদিও মাঠপর্যায়ে প্রতিপিস চামড়া ফড়িয়া ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা কিনেছেন মাত্র ২৫০ থেকে ৫৫০ টাকায়।
অন্যদিকে, কোরবানিদাতারা বিনা দামে চামড়া দিয়ে দিচ্ছেন এতিমখানায় অথবা মাদ্রাসায়। পূর্বে সাধারণত কোরবানিদাতারা চামড়া বিক্রির টাকা এতিমখানায় দান করত। তবে এবার চামড়া কেনার লোকজন এবং দাম কম থাকায় অনেকে চামড়া দিয়ে দিচ্ছেন মাদরাসায়। উত্তর বাড্ডার বজলুর রহমান এতিমখানা থেকে জানা যায়, কোরবানিদাতার ১ লাখ ২০ হাজার টাকার গরুর চামড়ার দাম ফড়িয়া ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা দিতে চায় মাত্র ৩০০ টাকা। সরকার যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সেই অনুযায়ী এই চামড়ার দাম হয় সর্বনিম্ন ১ হাজার ২০০ টাকা। এই কারণে অনেক কোরবানিদাতা এত কম দামে চামড়া বিক্রির পরিবর্তে এতিমখানাতেই চামড়া দিয়ে দিচ্ছেন বিনা দামে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্ক্রিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব টিপু সুলতান বলেন, ‘দাম কম পেলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় মাদ্রাসাগুলো। তারা সমপরিমাণ চামড়া থেকে বেশি টাকা পায় না।’ মাদ্রাসাগুলো বিনামূল্যে চামড়া পাওয়ায় তাদের কোনো ঝুঁকি নেই বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।’