অভিনয় করানোর নামে তরুণীকে ডেকে পালাক্রমে ধর্ষণ
গাজীপুর থেকে পঞ্চগড়ে মিউজিক ভিডিওতে মডেলিং করার জন্য ডেকে নিয়ে এক তরুণীকে (২৮) সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী তরুণী। মামলার প্রধান দুই আসামি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক আবিদা সুলতানা লাকী এবং অনলাইনভিত্তিক (আইপি) ‘প্রথম বাংলা টিভি’র চিফ নিউজ এডিটর ও ইউটিউবার সাজ্জাদ হোসেন মিলনকে গত বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী মডেল তরুণী সপরিবারে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে থাকেন। ইউটিউবের জন্য বিভিন্ন মিউজিক ভিডিওতে কাজ করার সময় পাঁচ বছর আগে তার সঙ্গে পরিচয় হয় পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সাজ্জাদ হোসেন মিলনের। বোদার ঝিনুকনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে সাজ্জাদ ঢাকায় ভিডিও সম্পাদনার কাজ করেন এবং প্রথম বাংলা টিভি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের চিফ নিউজ এটিডর ও গ্রাফিক ডিজাইনার। সম্প্রতি সাজ্জাদ বোদা উপজেলায় একটি মিউজিক ভিডিও তৈরির জন্য মডেল হিসেবে কাজ করতে ওই তরুণীকে আসতে বলেন।
গত মঙ্গলবার সকালে সেখানে পৌঁছেন তরুণী। সাজ্জাদ তাঁকে নিয়ে যান বোদা উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক আবিদা সুলতানা লাকীর থানাপাড়ার বাড়িতে। সেখানে তরুণীকে ফাঁদে ফেলে সাজ্জাদসহ চার-পাঁচজন ধর্ষণ করে। পরদিন তাকে বোদা পৌর এলাকার ভাসাইনগরে এক বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। সন্ধ্যার পর তরুণী সেখান থেকে পালিয়ে বোদা থানায় আশ্রয় নেন ও মামলা করেন। মামলার নামীয় অন্য আসামি হলেন বোদার নগরকুমারী এলাকার জসীম উদ্দিন (২২)।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোদা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সায়েম মিয়া বলেন, আমরা আদালতে গ্রেপ্তার হওয়া দুজনের পাঁচ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেছি। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। পঞ্চগড় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, আমরা ধারণা করছি, ঘটনার সাথে বড় চক্র কাজ করেছে। আমরা পুরো চক্রকেই বের করতে কাজ করছি।