নিজের জন্য রাখা কেক স্বামী খেয়ে ফেলায় ২৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানলেন নারী
২৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানলেন এক নারী— কারণ, তার স্বামী খেয়ে ফেলেছিলেন তার জন্য রাখা এক টুকরো চিজকেক। তবে ঘটনাটি শুধু কেক নিয়েই নয়, বরং বহু বছরের অবহেলা ও ভালোবাসার অভাবের প্রতীক হয়ে উঠেছিল সেই শেষ টুকরো কেক।
৪৬ বছর বয়সী ওই নারী তার গল্পটি শেয়ার করেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘রেডিট’-এ। তিনি জানান, ২৫তম বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে তার ৪৮ বছর বয়সী স্বামী হঠাৎ একটি ভ্রমণের আয়োজন করেন। দাম্পত্যে টানাপোড়েন চলছিল, আলাদা কক্ষে ঘুমাচ্ছিলেন তারা প্রায় তিন মাস ধরে। তাই স্ত্রী ভেবেছিলেন, এই ভ্রমণ হয়তো সম্পর্কটা আবার জোড়া লাগানোর সুযোগ এনে দেবে।
প্রথমে তিনি উৎসাহিত ছিলেন। কিন্তু ভ্রমণের পথে ও গন্তব্যে স্বামীর উদাসীনতা তাকে ধীরে ধীরে হতাশ করে তোলে। রোমান্টিক সময় কাটানোর আশা থাকলেও স্বামী ছিলেন দূরত্ব বজায় রেখে, আগের মতোই ঠান্ডা আচরণে।
এক রাতে ডিনারের পর দু’জনেই অর্ডার করেন বানানা চিজকেক। স্ত্রী তার কেকের অর্ধেক অংশ রেখে দেন পরের সকালের জন্য। সকালে ঘুম থেকে উঠে কফির সঙ্গে প্রিয় কেকটি খেতে গিয়ে দেখেন, সেটি নেই! ফ্রিজে পড়ে আছে শুধু একটি খালি বক্স— আরেকটিতে এক কামড় বাকি।
স্বামী হাসতে হাসতে জানান, রাতের বেলা ক্ষুধা লাগায় তিনি খেয়ে ফেলেছেন সেটি। স্ত্রী লিখেছেন, “ওই খালি বক্সের টুকরো কেকটা তখন আমার কাছে হয়ে গেল আমার পুরো বিবাহিত জীবনের প্রতীক— আমি সবসময়ই পেয়েছি কেবল ভাঙা টুকরো, তার দেওয়া ‘ক্রাম্বস’।”
তিনি বলেন, “২৫ বছর আমি এই মানুষটার যত্ন করেছি— ঘর, সন্তান, বিল, অ্যাপয়েন্টমেন্ট— সব কিছু সামলে এসেছি। অথচ আমার নিজের জন্য রাখা এক টুকরো কেকও সে রাখতে পারেনি।”
সেই মুহূর্তেই তার মনে হলো, এটি কেক নয়— এটি ২৫ বছরের অবমূল্যায়নের প্রতিফলন। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নেন, আর নয়। সম্পর্কের ইতি টানলেন তিনি।
রেডিটে অনেকে তার সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন। এক মন্তব্যে লেখা হয়, “এটা কেকের ব্যাপার নয়— এটা ভালোবাসা, সম্মান আর সহযোগিতার অভাবের ব্যাপার।” আরেকজন বলেন, “সে কেকটা খেয়েছে— সেটা যতটা খারাপ, তার থেকেও খারাপ হলো সে এটা নিয়ে হাসাহাসি করেছে।”
নারীটির মতে, “আমি এমন একজন মানুষ চাই, যে শুধু আমার কেকটুকু খাবে না— সেটাকে রক্ষা করবে। আমি আর ভাঙা টুকরোতে সন্তুষ্ট নই।”