একটু ধৈর্য ধরুন, রাষ্ট্র মেরামতের কাজ চলছে: ড. রেজা কিবরিয়া
গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলেছেন, আজকে আমাদেরকে রাস্তায় সমাবেশ করতে হচ্ছে, রাস্তায় অনেক গাড়ি আটকে আছে, সবাই অনেক কষ্ট করছেন। আমি জনগণকে বলবো, এাটু ধৈর্য ধরুন, রাষ্ট্র মেরামতের কাজ চলছে। এজন্য রাস্তা কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রয়েছে। সরকার আমাদেরকে সভা-সমাবেশ করার স্পেস দিচ্ছে না। তাই আমাদেরকে রাস্তায় নামতে হয়েছে। আপনাদেকে একটু কষ্ট দিতে হচ্ছে। এজন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।
শনিবার (২৮ মে) রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সারাদেশে বিরোধী ও ভিন্নমতের মানুষদের দমন, নিপীড়ন, হুমকি, মামলা ও হয়রানি করা হচ্ছে অভিযোগ করে এই মৌন মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে গণঅধিকার পরিষদ।
রেজা কিবরিয়া বলেন, আমরা আপনাদের জন্যই রাস্তায় দাঁড়িয়েছি। দেশে যে নৈরাজ্য চলছে। যেখানে সেখানে বিরোধীদের ওপর হামলা আক্রমণ করা হচ্ছে। সরকারের লোকজন ভাবছে, সামনে নির্বাচনে তারা টাকা পয়সা বউ বচ্চা নিয়ে বিদেশে পালাবে। আর দেশকে এমন অবস্থায় রেখে যাবে দেশে যেন আমরা ঠিকমতো বসবাস করতে না পারি। এটাই তাদের নীতি। তারা ভুলে গেছে বাইরে টাকা পাচার করলে তা দেশে ফেরানোর আইন আন্তর্জাতিক ভাবে আছে। তাদের পাচার করা টাকা ফিরিয়ে এনে জনগণের টাকা আমরা জনগণের কাজে আমরা লাগাবো ইনশাআল্লাহ।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেদ খান বলেন, এই সরকার মানুষকে বন্দুকের নল দেখিয়ে চুপ রাখতে চায়, কিন্তু তার যে পায়ের নিচে মাটি নেই, ক্ষমতায় থাকার মত জনভিত্তি নেই, সেটি ভুলে গেছে। ফ্যাসিস্ট সরকার শেষের দিকে এভাবেই মরণকামড় দেয়। নির্যাতন নিপীড়নের মাত্রা যতো বাড়বে, ক্ষমতার মসনদ ততো নড়বড়ে হবে। সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে এই সরকারের পতনের আন্দোলন শীঘ্রই শুরু করবে গণঅধিকার পরিষদ।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান বলেন, গুম হওয়া ৪০৩ জনকে অনতিবিলম্বে তাদের পরিবারের কাছে ফেরত দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। সারাদেশে ছাত্র যুব শ্রমিক ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের উপর হামলাকারী ছাত্রলীগ যুবলীগ ক্যাডারদের গ্রেফতার করতে হবে। সর্বোপরি এই অবৈধ হাসিনা সরকারের পতন না হওয়া অবধি আন্দোলন চলবে।
যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হানিফ বলেন, এই সরকারের আমলে যত গুলো গুম খুন হয়েছে সব গুলোর বিচার একদিন বাংলাদেশের মাটিতে হবে। সরকার ২০২৩ সালের নির্বাচন নিয়ে ১৪ কিংবা ১৮ সালের চক আঁকছে। কিন্ত গণঅধিকার পরিষদ সেই চক্রান্ত বাস্তবায়ন করতে দিবে না।