fbpx
হোম জাতীয় ক্লিন শেভ-ভ্রু প্লাক করে কক্সবাজার ছাড়ার পথে আটক আশিক
ক্লিন শেভ-ভ্রু প্লাক করে কক্সবাজার ছাড়ার পথে আটক আশিক

ক্লিন শেভ-ভ্রু প্লাক করে কক্সবাজার ছাড়ার পথে আটক আশিক

0

কক্সবাজারে সৈকত থেকে গৃহবধূকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণকাণ্ডের মূলহোতা আশিকুল ইসলাম আশিক দাঁড়িগোফ কামিয়ে ক্লিন শেভ ও ভ্রু প্লাক করে কক্সবাজার ছাড়েন বলে জানিয়েছে র‌্যাব। 

সোমবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানায়, গ্রেফতার আশিকুল ইসলাম আশিক (৩০)  ওই নারীকে ধর্ষণ করে ও জিয়া গেস্ট ইন হোটেলে আটকে রেখে তার স্বামীর কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এর পর তাকে হোটেলে আটকে রেখে আশিক হোটেল থেকে বের হয়ে যায়।

পরে বিষয়টি ব্যাপকভাবে স্থানীয় পর্যায় ও বিভিন্ন মিডিয়ায় খবর প্রকাশ হলে আশিক আত্মগোপনে চলে যায়। সে বেশভূষা পরিবর্তন করে ঘটনার দুদিন পর কক্সবাজার থেকে একটি এসি বাসে ঢাকায় আসে। এর পর ঢাকা থেকে পটুয়াখালী যাওয়ার পথে সে মাদারীপুরের মোস্তাফাপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার হয়।

গণধর্ষণকাণ্ডের প্রধান আসামি আশিককে গ্রেফতার করার পর র‌্যাব এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

র‌্যাব জানায়, আশিকুল ইসলাম আশিক স্থানীয়ভাবে ‘টর্নেডো’ আশিক নামে পরিচিত। ধর্ষণের ঘটনার পর দাড়ি-গোফ কেটে চেহারা বদলে তিনি কক্সবাজার ছাড়েন।

তিনি জানান, ঘটনার পর পর গণমাধ্যমে ছবি প্রকাশ হওয়ায় আশিক দাড়ি-গোফ কেটে, ভ্রু প্লাক করে কক্সবাজার থেকে এসি বাসে প্রথমে ঢাকায় আসে। পরে আরেকটি বাসে মাদারীপুরে এক আত্মীয়ের বাসায় যায়। সেখান থেকে কুয়াকাটায় গিয়ে আত্মগোপনের পরিকল্পনা ছিল তার। তবে কুয়াকাটা যাওয়ার চেষ্টাকালে রোববার রাতে মাদারীপুরের মোস্তফাপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

এদিকে, হৃদরোগে আক্রান্ত শিশুসন্তানের চিকিৎসায় অর্থ সংকুলানের জন্য স্বামীর সঙ্গে কক্সবাজারে গিয়ে সেই গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার হন বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

র‌্যাব জানায়, শিশুসন্তানের চিকিৎসায় প্রয়োজন ১০ লাখ টাকা। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাতে স্বামী-সন্তান নিয়ে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে যান ওই নারী। পর্যটকদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের বিষয়টি জেনে তাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন গ্রেফতার আশিক ও তার সহযোগীরা। এ অর্থ না দেওয়ায় ধর্ষণের শিকার হন ওই নারী।

র‌্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামি জানিয়েছে, সে ও তার সহযোগীরা গৃহবধূ ও তার পরিবারের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। তারা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এর পর লাবণী বিচ এলাকার রাস্তা থেকে গৃহবধূকে সিএনজিতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

গ্রেফতার আশিকুল ইসলাম আশিক ওই নারীকে ধর্ষণ করে ও জিয়া গেস্ট ইন হোটেলে আটকে রেখে তার স্বামীর কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এর পর তাকে হোটেলে আটকে রেখে আশিক হোটেল থেকে বের হয়ে যায়।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, ভুক্তভোগী ওই নারী স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজারের একটি হোটেলে অবস্থান করছিলেন। তাদের সঙ্গে আট মাস বয়সের একটি শিশুসন্তান রয়েছে। শিশুটির জন্মগতভাবে হার্টে ছিদ্র থাকায় তার চিকিৎসায় ১০ লাখ টাকা প্রয়োজন। শিশুটির চিকিৎসার অর্থ সংকুলানের আশায় স্বামীসহ কক্সবাজারে অবস্থান করছিল পরিবারটি। তারা বিত্তবান পর্যটকদের নিকট হতে অর্থ সাহায্য চাইতেন। এ সময় তিনি অপহরণ ও ধর্ষণের শিকার হন।

তিনি বলেন, র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে আশিক তরুণীকে ধর্ষণ ও তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা চাওয়ার কথা স্বীকার করেছে আশিক।

র‌্যাব আরও জানায়, গ্রেফতারকৃত আশিক কক্সবাজারে পর্যটক এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের মূলহোতা। এই চক্রের সদস্য সংখ্যা ৩০-৩৫ জন। গ্রেফতারকৃত বিগত ২০১২ বছর হতে কক্সবাজার পর্যটক এলাকায় বিভিন্ন অপরাধের সাথে যুক্ত রয়েছে। সে ২০১৪ সালে প্রথমবার অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয়েছিল বলে জানিয়েছে। আশিক ও তার সিন্ডিকেট পর্যটন এলাকা কক্সবাজারে চুরি, ছিনতাই, অপহরণ, জিম্মি, চাঁদাবাজি, জবরদখল, ডাকাতি ও মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। সে পর্যটন এলাকায় বিভিন্ন হোটেলে ম্যানেজারের সঙ্গে যোগসাজশে ট্যুরিস্টদের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল করত।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *