মহাষ্টমীত আজ, হচ্ছে না কুমারী পূজা
শারদীয় আবেশ লেগে আছে প্রকৃতি জুড়ে। নীলাকাশ, সাদা মেঘের ভেলা, কাশফুলের সমারোহ। শিউলি ঝরা প্রভাত। ঘাসের পরে শিশির বিন্দু। রাত গভীরে শীত শীত আমেজ। তার মধ্যে পূজামণ্ডপগুলো মুখরিত ঢাকের বাদ্য আর উলুধ্বনি-শঙ্খের আওয়াজে। হিন্দুদের উৎসবের জোয়ার বইছে চারদিকে।
আজ শারদীয় দুর্গাপূজার মহাষ্টমী। এদিন কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এবার হচ্ছে না কুমারী পূজা। এ জন্য রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশনসহ কোনো মন্দিরেই কুমারী পূজার আয়োজন করা হয়নি।
মেরুতন্ত্রে বলা আছে, সর্বকামনা সিদ্ধির জন্য ব্রাহ্মণ কন্যা, যশোলাভের জন্য ক্ষত্রিয় কন্যা, ধনলাভের জন্য বৈশ্য কন্যা ও পুত্রলাভের জন্য শূদ্রকুল জাত কন্যা কুমারী পূজার জন্য যোগ্য। গুণ ও কর্ম অনুসারেই এই জাতি বা বর্ণ নির্ধারিত হয়। সে জন্যই প্রচলিত শাস্ত্র অনুসারে, বিভিন্ন মিশন ও মন্দিরগুলোতে সর্বমঙ্গলের জন্য ব্রাহ্মণ কন্যাকেই দেবীজ্ঞানে পূজা করা হয়। সব নারীর মধ্যেই বিরাজিত রয়েছে দেবীশক্তি। তবে কুমারী রূপেই মা দুর্গা বিশেষভাবে প্রকটিত হয়েছিলেন। তাই কুমারী রূপে নারীকে দেবীজ্ঞানে সম্মান জানানোর একটি হচ্ছে ‘কুমারী পূজা’। ১৯০১ সালে স্বামী বিবেকানন্দ শুরু করেছিলেন বেলুড়মঠের দুর্গাপুজো। সেই বছরই কুমারী পুজোর প্রচলন করেছিলেন তিনি।