কোচ মাউরিসিও পচেত্তিনোর আচরণে সন্তুষ্ট নন মেসি!
অলিম্পিক লিঁওর বিপক্ষে ম্যাচে পিএসজির একাদশে ছিলেন লিওনেল মেসি। কিন্তু কোচ মাউরিসিও পচেত্তিনোর আচরণে সন্তুষ্ট নন তিনি, ৭৬তম মিনিটে তাকে উঠিয়ে নেওয়ায় আর্জেন্টাইন তারকার মুখাবয়বে প্রকাশ পায় অতৃপ্তির ছায়া। পার্ক দেস প্রিন্সেসে ৭৬তম মিনিটে লিওনেল মেসিকে উঠিয়ে নেন মাউরিসিও পচেত্তিনো। অথচ মেসির অঙ্গভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছিল তিনি আরও খেলতে চান। এখনও যে পিএসজির জার্সিতে গোল পাননি বার্সেলোনা সাবেক ফুটবলার। অবশ্য ৩৬তম মিনিটে সেই উপলক্ষ পেয়েও গেছিলেন মেসি, অল্পের জন্য তার ফ্রি কিক বারপোস্ট থেকে ফিরে না আসলেই হতো।
মাঠ থেকে উঠানোর সময় মেসি যেমন কোচের ব্যবহারে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তেমনি বেঞ্চে বসে থেকেও যারপরনাই ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে আর্জেন্টাইন তারকার আচরণে। তবে এসব তো গৌন বিষয়, কোচই যে এ ক্ষেত্রে সর্বেসর্বা।
লিঁওর বিপক্ষে একেবারে অন্তিম সময়ে গিয়ে পিএসজিকে জয় এনে দেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার মাওরো ইকার্দি। ইকার্দির গোলের আগে দুটি গোলই এসেছিল ব্রাজিলিয়ান দুই ফুটবলার নেইমার জুনিয়র ও লুকাস পাকুয়েতার পা থেকে। প্রতিপক্ষের সঙ্গে ম্যাচের আগে পরিসংখ্যান ছিল মেসিদের পক্ষে। তাই ক্লাব ব্রুগের বিপক্ষে ড্রয়ের হতাশা এ ম্যাচ জিতে কাটানোর ইচ্ছা ছিল পিএসজির। পার্ক দেস প্রিন্সেসে লিঁওর বিপক্ষে প্রথমবারের মতো পিএসজির একাদশে জায়গা পান লিওনেল মেসি। লিগে এর আগে রেইমসের বিপক্ষে অভিষেকে বদলি হিসেবে খেলানো হয়েছিল তাকে। এটি আবার নেইমার-এমবাপ্পের সঙ্গী হিসেবে তার ফরাসি লিগেও প্রথম কোনো ম্যাচ ছিল।
গোলশূন্য বিরতির ৯ মিনিট পর প্রথম গোলের মুখ দেখে ম্যাচ, এ সময় দোন্নারুমাকে ফাঁকি দিয়ে বা পায়ের শটে বল জালে পাঠান লিঁওর ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার লুকাস পাকুয়েতা। তাতে পিএসজির মাঠে উল্লাসে মাতে লিঁওর ফুটবলাররা। তবে সেই রেশ ১২ মিনিট পর আর থাকেনি। ফাউলের সূত্র ধরে পেনাল্টি পায় স্বাগতিকরা। সেখান থেকে ফাউলের শিকার হওয়া নেইমারই গোল এনে দেন পিএসজিকে। লিঁও গোলরক্ষককে বামে পাঠিয়ে ডান দিকে বল জালে পাঠান তিনি। তার দশ মিনিট পর মেসিকে উঠিয়ে পিএসজি কোচ পচেত্তিনো আশরাফ হাকিমিকে নামান।
৮২তম মিনিটে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার বদলি হিসেবে খেলতে নামেন ইকার্দি। তার প্রায় দশ মিনিট পর পিএসজিকে জয়সূচক গোলটি এনে দেন তিনি। তাতে ছয় ম্যাচের সবকটিতে জিতে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে পিএসজি এখন পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। লিঁও ছয় ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে আছে টেবিলের নবম স্থানে।