আরও একটি সেনাঘাঁটি দখলে নিল মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা !
গণতন্ত্রকামীদের প্রবল বিক্ষোভের পর এবার বার্মিজ সেনার বিরুদ্ধে মোর্চা খুলেছে বেশ কয়েকটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন। সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক দিয়েছে বেশ কয়েকটি বিদ্রোহী সংগঠন।
বার্মিজ সেনার আরও একটি ঘাঁটি দখল করল কারেন বিদ্রোহীরা। এর আগে থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী অঞ্চলে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একটি ঘাঁটি দখলে নেয় শক্তিশালী কারেন বিদ্রোহীরা। পূর্বাঞ্চলের ওই ঘাঁটি দখল করা হয় বলে জানিয়েছিল বিদ্রোহীদের এক কর্মকর্তা।
জানা গেছে, শুক্রবার মায়ানমার-থাইল্যান্ড সীমান্তে সালউইন নদীর কাছে টাটমাদাও বা বার্মিজ সেনাবাহিনীর একটি ঘাঁটিতে হামলা চালায় বিদ্রোহী সংগঠন ‘কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন’-এর সামরিক শাখা ‘কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’। কয়েক রাউন্ড গুলি চলার পর প্রায় বিনাযুদ্ধে সেনা শিবিরটি দখল করে সংখ্যালঘু কারেন সম্প্রদায়ের বিদ্রোহী সংগঠনটি।
এই ঘটনার দিন দশেক আগেই প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে সরকারি বাহিনীর আরও একটি ঘাঁটি দখল করে জ্বালিয়ে দেয় কারেন বিদ্রোহীরা। ফলে রীতিমতো চাপে পড়েছে সামরিক জান্তা।
কারেন প্রদেশে দীর্ঘদিন ধরেই স্বশাসনের দাবি জোরাল হচ্ছে। গততান্ত্রিক পদ্ধতিতে আং সান সু চির সরকার ক্ষমতায় আসার পর আলোচনার টেবিলে এসেছিল সংগঠনটি। কিন্তু সেনা অভ্যুত্থাননের পর আলোচনা ভেস্তে যায়। কারেন বিদ্রোহীদের উপর লাগাতার বিমান হামলা চালাচ্ছে বার্মিজ সেনা। ফলে দেশটিতে গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত হয়েছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকদের একাংশ।
উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে গণতান্ত্রিক সরকারকে সরিয়ে মিয়ানমারের রাশ নিজেদের হাতে নেয় সেনাবাহিনী। বন্দি করা হয় কাউন্সিলর আং সান সু চিসহ নির্বাচিত সরকারের শীর্ষ কর্তাদের। তারপর থেকেই সে দেশে গণতন্ত্রের দাবিতে চলছে তুমুল বিক্ষোভ। পালটা অভিযান শুরু করেছে সেনাবাহিনী।