জামালপুরের সরিষাবাড়িতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মানসিক ভারসাম্যহীন অভিনেতা
‘সকলের সহযোগিতা চাই। ছবিতে সাদা গেঞ্জি পরা লোকটিকে জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলার শিমলা বাজারে এলোমেলোভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। কোনো কথার উত্তর দেয় না। মনে হয় মানসিক ভারসাম্যহীন। কেউ যদি উনাকে চিনে থাকেন, তাহলে অতি তাড়াতাড়ি সরিষাবাড়ি হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।’- কয়েকটি স্থিরচিত্র পোস্ট করে এই স্ট্যাটাস দেওয়া হয় বেশ কিছু ফেসবুক পেজে।
ছবির যুবকটা আর কেউ নয়, অভিনেতা শাহরিয়ার শুভ। গত ২ দিনে বিভিন্ন পেজে ছবিসহ এই স্ট্যাটাসটি ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নজরে আসে শোবিজ অঙ্গনের মানুষদেরও। তারপর শুরু হয় নানা জল্পনা। অনেকে বলেন, শুভ হঠাৎ মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। কীভাবে এটা হলো তা নিয়ে উড়তে থাকে নানা গুঞ্জন।
এদিকে অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম ও ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এস এ হক অলিক দ্রুত সরিষাবাড়িতে খোঁজ নেন। ২৯ আগস্ট সারাদিন চেষ্টা করেও শুভর সঙ্গে কথা বলতে পারেননি তারা। অবশেষে খোঁজ পাওয়া যায় শাহরিয়ার শুভর। তিনি সরিষাবাড়ি ডাক বাংলোতে রয়েছেন। গতকাল ৩০ আগস্ট বিকেলে অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম জানান- শুভর সঙ্গে মুঠোফোনে তার কথা হয়েছে, সে এখন সুস্থ-স্বাভাবিক আছে। বর্তমানে সরিষাবাড়ি ডাক বাংলোতেই অবস্থান করছে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে। আপাতত কোনো সমস্যা নেই। আজ ৩১ আগস্ট ঢাকায় ফিরছেন শুভ।
মূল ঘটনার বর্ণনা করে নাসিম বলেন- শুভ মূলত শুটিং করতে টাঙ্গাইল গিয়েছিল। ওখান থেকে কেন্দুয়া এক বন্ধুর বাসায় গিয়েছিল। ওখানে এক রাত ছিল। পরের দিন সকালে ফেরার জন্য রওনা হয়। রওনা হয়ে এক চায়ের দোকানে চা খেতে বসে। সেখানে পানি-চা খাওয়ার পর শুভ ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। শুভ ধারণা করছে, চায়ের সঙ্গে তাকে কিছু একটা খাওয়ানো হয়েছিল। এরপর একদিন একরাত কোথায় কোথায় ঘুরেছে কিছুই মনে নেই তার। ওর সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ সব নিয়ে গেছে। পরে জামালপুর রেলস্টেশন থেকে স্থানীয় সাংবাদিকরা হাসপাতালে ভর্তি করে শুভকে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সাল থেকে নিয়মিত টেলিভিশন নাটকে অভিনয় শুরু করেন শাহরিয়ার শুভ। শতাধিক টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটক হলো- ‘ভালোবাসার চতুষ্কোণ’, ‘ডিবি’, ‘গুলশান অ্যাভিনিউ’ ইত্যাদি।