ঐতিহাসিক শোলাকিয়ায় ঈদের জামাত হয়নি
করোনার কারণে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া মাঠে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি। করোনা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকার কারণে ঈদুল আজহার ১৯৩তম জামাত অনুষ্ঠিত হলো না এবার। শুধু শোলাকিয়া নয়, জেলার কোনো ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়নি।
আজ শনিবার (১ আগস্ট) সকালে জেলা শহরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেন। একই সঙ্গে জেলা শহরের ঐতিহাসিক শহীদি মসজিদে অনুষ্ঠিত ঈদ জামাতেও বিপুল সংখ্যক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। জেলার অন্যান্য মসজিদেও সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রত্যেকটি মসজিদে একাধিক জামাতের আয়োজন করা হয়। নামাজ শেষে করোনা মহামারি থেকে মানবজাতিকে রক্ষায় মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এছাড়া মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয় মোনাজাতে।
শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী বলেন, ‘ঈদের দিন লাখো মানুষ শোলাকিয়ায় নামাজ আদায় করতেন। কিন্তু করোনা সংক্রমণ রোধে শোলাকিয়ার খোলা মাঠে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি। শুধু মুসল্লিদের জীবনের ঝুঁকি ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে শোলাকিয়ার ঈদ জামাত বন্ধ রাখা রয়েছে।’
উল্লেখ্য, ২০০ বছরের ইতিহাসে কোনোদিন কোনো দুর্যোগে বন্ধ থাকেনি শোলাকিয়ার ঈদের জামাত। ২০১৬ সালে শোলাকিয়া মাঠের অদূরে জঙ্গি হামলার পরও মুখরিত ছিল শোলাকিয়া। সেদিনও হয়েছে ঈদের জামাত। কিন্তু করোনাভাইরাস সবকিছু যেন এলোমেলো করে দিয়েছে। গত ঈদুল ফিতরেও জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি শোলাকিয়ায়।