আজ সুরের জাদুকর আলম খানের জন্মদিন
বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনে যাকে বলা হয় সুরের জাদুকর। তার নাম আলম খান। তার অসাধারণ সব গান গেয়ে অনেক শিল্পী খ্যাতি অর্জন করেছেন।
সেই মানুষটির আজ জন্মদিন। আজ তিনি ৭৫ বছরে পা রাখলেন।
আমরা যাকে পপসম্রাট আজম খান হিসেবে চিনি তিনি হচ্ছেন এই আলম খানের ছোট ভাই। তিনি ১৯৪৪ সালের ২২ অক্টোবর সিরাজগঞ্জের বানিয়াগাথি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আলম খান।
বিশেষ এই মানুষটির পুরো নাম খুরশিদ আলম খান। পিতার নাম আফতাব উদ্দিন খান। মায়ের নাম জোবেদা খানম। গুলবানু খানের সাথে দাম্পত্য জীবনে দুই ছেলে ও এক মেয়ের পিতা তিনি।
হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস দম ফুরাইলে ঠুস, আমি রজনীগন্ধা ফুলের মতো গন্ধ বিলিয়ে যাই, ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে, কি জাদু করিলা পিরিতি শিখাইলা, তুমি যেখানে আমি সেখানে, সবাই তো ভালবাসা চায়’ ‘ওরে নীল দড়িয়াসহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের সুর করেছেন আলম খান।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ‘বড় ভাল লোক ছিল’ (১৯৮২), ‘তিন কন্যা’ (১৯৮৫), ‘সারেন্ডার’ (১৯৮৭), ‘দিনকাল (১৯৯২) এবং ‘বাঘের থাবা’ (১৯৯৯) ছবিগুলোতে শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। শ্রেষ্ঠ সুরকার হিসেবে ২০০৮ সালে পেয়েছেন ‘কি জাদু করিলা’ ছবির জন্য। এছাড়াও আরও প্রায় ৬০ টিরও বেশী ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন তিনি।
তিনি একাধারে গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন। একবার কিংবা দু’বার নয়, সাত বার জাতীয় চলচিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি। এছাড়াও শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালকেরও পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
গানের ভুবনে অসংখ্য গানের সৃষ্টি করেছেন। ছোটবেলা থেকে গানের প্রতি ভালোবাসার টানে গানের ভুবনে প্রবেশ করেন তিনি। ১৯৭০ সালে আবদুল জব্বার খানের ‘কাঁচ কাটা হীরে’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। তিনি তার দীর্ঘ সাংস্কৃতিক জীবনে দিয়ে গেছেন অনেক কিছুই।
•
চেঞ্জ টিভির পক্ষ থেকে এই গুণী মানুষটির জন্য রইলো অগভীর শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও অভিনন্দন। বাকি জীবনটুকু হোক আরও সুন্দর ও সৃষ্টিশীলতার ভিতর দিয়ে। শুভ জন্মদিন প্রিয় আলম খান।