“বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে এক লাখের বেশি রোহিঙ্গা মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছে”
মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণ ভয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট, এনআইডি এবং সর্বশেষ স্মাট কার্ড পাওয়া ঠেকাতে চট্টগ্রাম বিভাগের ৫টি জেলার ৩৮টি উপজেলাকে বিশেষ জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। এসব উপজেলার যে কোনো নাগরিকের পাসপোর্ট, এনআইডি কার্ডের জন্য জানানো আবেদন স্থানীয় প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত কমিটিকে পর্যালোচনা করে রিপোর্ট দিতে হবে। পুরাতন রোহিঙ্গাদের সহযোগিতায় নতুন আসা রোহিঙ্গারা এসব সুযোগ নিচ্ছে বলে তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
গত তিন দশকে বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে এক লাখের বেশি রোহিঙ্গা মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছে। বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী হওয়ায় অপরাধ প্রবণ রোহিঙ্গাদের সব দায় এসে পড়ছে বাংলাদেশের ওপর। পাসপোর্টের পর রোহিঙ্গারা এখন এনআইডি এবং সর্বশেষ স্মাট কার্ড পর্যন্ত পেয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদ প্রফেসর ড. জাকির হোসেন বলেন, নির্বাচিত প্রতিনিধি সেটা পুলিশ প্রশাসনসহ যারা পাসপোর্টের সঙ্গে জড়িত এছাড়া যারা এর সঙ্গে জড়িত না থাকলে পাসপোর্ট বা এনআইডি কোনভাবেই পাওয়া সম্ভব না।
পুলিশের অনুসন্ধানে বের হয়ে এসেছে বাংলাদেশে অবস্থানকারী পুরাতন রোহিঙ্গারাই টাকার বিনিময়ে নতুন আসা রোহিঙ্গাদের এনআইডি সার্ভারে সংযুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে। সিএমপি উপ পুলিশ কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান বলেন, ‘নতুন রোহিঙ্গারা যেহেতু দীর্ঘদিন বাংলাদেশে আছে তাদের সঙ্গে বাঙ্গালী কমিউনিটির এত ভাল সম্পর্ক হয়েছে যে তারা এসব সুযোগ পাচ্ছে।
এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশন রোহিঙ্গাদের এনআইডি কার্ড পাওয়া ঠেকাতে বৃহত্তর চট্টগ্রামের ৫টি জেলার ৩৮টি উপজেলাকে বিশেষ জোন হিসাবে চিহ্নিত করেছে। এসব উপজেলার যে কোনো আবেদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে গঠিত ১৫ সদস্যের বিশেষ কমিটি পর্যালোচনা করবে।
সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মনির হোসাইন খান বলেন, কয়েকটা মিটিং হয় তাদের, সেখানে যাচাই বাছাই করে যদি সন্দেহ হয়, রোহিঙ্গাদের ফরম আছে তাহলে সেগুলো বাদ দিয়ে দেয়া হয়। পরে অরিজিনাল ভোটারদের ছবি তোলা হয়। ১৯৭৮ সাল থেকে রোহিঙ্গারা পালিয়ে বাংলাদেশে আসতে শুরু করে। সবশেষ ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে তিন মাসে ৮ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে।