নাইক্ষ্যংছড়ির ৬২ কিলোমিটার সীমান্ত এখন শান্ত
নাইক্ষ্যংছড়ির ৬২ কিলোমিটার সীমান্তজুড়ে কয়েক দিন ধরে শান্ত অবস্থা বিরাজ করছে। সম্প্রতি সীমান্তের ওপারে একের পর এক গুলি, মর্টার শেলের শব্দে এলাকাজুড়ে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। অনেকে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়। তবে বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত থাকায় অনেকে ফিরেছেন নিজ বাড়িতে। জমিতে কাজ করছেন কৃষকরা। এছাড়া সীমান্ত সড়কের কাজও চলমান রয়েছে। সরজমিনে গিয়ে সীমান্তবাসীর সাথে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ফরিদুল আলম বলেন, গত কয়েক দিন ধরে তাদের সীমান্ত পয়েন্টগুলো শান্ত অবস্থায় আছে। জামছড়ি এলাকার হাবিবুর রহমান জানালেন, তাদের ৪৫ থেকে ৪৭ নম্বর পিলার দিয়ে এখন কোনো বিস্ফোরণের শব্দ আসছে না।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন বলেন, সীমান্ত এলাকা বতর্মানে ভালো আছে। মিয়ানমার থেকে গোলাবারুদসহ বিস্ফোরণের শব্দ আসছে না।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা পুরোপুরি শান্ত। কোনো গুলির শব্দ নেই। গ্রামবাসী বর্তমানে আতঙ্কমুক্ত। সীমান্তে বসবাসরত মানুষের জীবনযাত্রা এখন স্বাভাবিক।
এদিকে মিয়ানমারে সংঘাতের কারণে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৭৭ জন সদস্যকে শিগগিরই তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। সম্প্রতি খাগড়াছড়ির রামগড় বিজিবি ব্যাটালিয়নের স্মৃতিস্তম্ভ ও রামগড় আইসিপি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনাদের দ্রুত তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। বর্তমানে মিয়ানমারের ১৭৭ জন সৈন্য বাংলাদেশের আশ্রয়ে রয়েছে। তাদেরও আগের মতো দ্রুত সময়ের মধ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
মিয়ানমারে জান্তা সরকার ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে চলমান সংঘর্ষের মধ্যে গত ১১ মার্চ নতুন করে এসব বিজিপি সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের আশারতলী গ্রামের জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বর্তমানে তারা বিজিবি স্কুলে আছে। তাদের ভরণপোষণ বিজিবির পক্ষ থেকে করা হচ্ছে। এরই মধ্যে দুই দেশের কূটনৈতিক আলোচনা চলছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
ইত্তেফাক