৬ লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে
প্রচণ্ড বেগে উপকূলে আছড়ে পড়ে রীতিমতো তাণ্ডব চালানোর পর দাপট কমেছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের। এরই মধ্যে ক্রমেই দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড়টি স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। তবে রাতভর চলা এই ঝড়ের তাণ্ডবে ইতোমধ্যেই দেশের আট জেলায় ১৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে গাছ উপড়ে যোগাযোগ বন্ধ হলেও মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ভোররাত নাগাদ দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে দেশের সড়ক যোগাযোগও অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। দুটি মহাসড়কেই সীমিত আকারে যান চলাচল শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে ৬ লাখ মানুষকে।
অন্যদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলাগুলোর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সেই সঙ্গে ঝড়ে দেশের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলের অনেক জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি ও সঞ্চালন লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে দীর্ঘসময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকলেও এরই মধ্যে কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ ফিরতে শুরু করেছে। তবে পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো)।