নৌযান চলাচল স্বাভাবিক
প্রচণ্ড বেগে উপকূলে তাণ্ডব চালানোর পর দাপট কমেছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের। এরই মধ্যে ক্রমেই দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড়টি স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব না থাকায় আভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার সব ধরনের নৌযান চলাচল স্বাভাবিক ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
আবহাওয়া অনুকূলে আসায় মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকাল থেকে সব ধরনের নৌযান চলাচলে অনুমতি দেয় বিআইডব্লিউটিএ।
বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (ট্রাফিক) মো. রফিকুল ইসলাম ঢাকা মেইলকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আবহাওয়া অধিদফতরের সঙ্গে কথা বলার পর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কারণ, এখন এক নম্বর সংকেত দেখানো হয়েছে। তাই সব নৌ পরিবহন চলবে।
এর আগে বিপদের আশঙ্কায় সোমবার (২৪ অক্টোবর) সারাদেশের যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। ওই সময় বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর মো. গোলাম সাদেক জানিয়েছিলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কথা বিবেচনায় সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এই আদেশ কার্যকর থাকবে।
উল্লেখ্য, সোমবার ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় প্রস্তুতি এবং পরবর্তী করণীয়ের জন্য বিআইডব্লিউটিএর সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ছুটি বাতিল করা হয়। সেই সঙ্গে উদ্ধারকারী নৌযানগুলো সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছিল। এছাড়া সমুদ্রে যে সকল জাহাজ যেখানে অবস্থান করছে, সেখান থেকে সরতে নিষেধ করা হয়েছিল। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে বলেও সে সময় জানানো হয়েছিল।
এদিকে, আবহাওয়া অধিদফতরের দেওয়া সর্বশেষ বার্তায় বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং দেশের উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অতি দ্রুত অগ্রসর হয়েছে। এটি ক্রমেই দুর্বল হয়ে এরই মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। তবে এর আগে তাণ্ডব চালানোর সময় দেশের ছয় জেলায় ১১ জনের প্রাণহানি ঘটে।