অমরত্বের প্রত্যাশায় টাকা ঢালছেন জেফ বেজোস
ইলন মাস্কের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলা অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস এবার অমরত্বের পেছনে অর্থ ব্যয় করছেন। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ একদল বিজ্ঞানীকে তার এই স্বপ্নপূরণ করতে একত্রিত করেছেন।
এই বিলোনিয়ার ‘অলটো ল্যাব’ নামে একটি স্টার্ট-আপ তৈরি করেছেন যাদের কাজ হবে বয়সকে থামিয়ে দেওয়া, মানুষের যৌবনকে ধরে রাখা। এরই ধারাবাহিকতায় জেফ বেজোস ফার্মাসিটিক্যাল জায়ান্ট গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হাল ব্যারনকে ‘অলটো ল্যাবের’ সিইও পদ দিয়েছেন।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ব্যারন বলেন, আমি গভীরভাবে সম্মানিত বোধ করছি এমন অনন্য একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পেরে যারা রোগবালাইকে ফিরিয়ে দেওয়ার মতো সদা পরিবর্তনশীল একটি মিশনে নেমেছে।
ব্যারন বিজ্ঞানীদের ‘এ টিমের’ সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন যেখানে ড.শিনয়া ইয়ামানাকার মতো নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী রয়েছেন। ইয়ামানাকা ২০১২ সালে চিকিৎসাশাস্ত্রে স্টেম সেল গবেষণার জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। এছাড়া আরও রয়েছেন ২০২০ সালে রসায়নে নোবেলজয়ী জেনিফার ডোডনা। তিনি জিনম ডেভলপিং টুলস সিআরআইএসপিআর নির্মাণে ভূমিকা রাখার জন্য পুরস্কৃত হন।
শক্তিশালী গবেষক ও বিজ্ঞানীদের নিয়ে করা এই বিশাল প্রজেক্টের শুরুতেই প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারের মতো ফান্ড রয়েছে বলে জানিয়েছেন বেজোস।
তবে শুধু জেফ বেজোসই একমাত্র নন যিনি এমন প্রকল্পে অর্থ ঢালছেন। রাশিয়ান-ইসরাইলি বিলোনিয়ার ইয়ুরি মিলনারও বয়সরোধী প্রযুক্তির পেছনে ব্যয় করছেন।
এটি মূলত এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে কোষগুলো বয়স্ক হবার পর তাদের পুনর্জীবিত করে তোলা হয় এবং শরীরের বয়স বাড়ার সঙ্গে নিজেকে ‘মেরামত’ করে নিতে পারে, এমনকি এতে ডিমেনশিয়ার মতো রোগবালাইয়েরও উপশম হয়।
তবে শুধু সময়ই বলে দিতে পারে ধনকুবেরের ‘মদদপুষ্ট’ এই প্রযুক্তি আমাদের যৌবনকে সারাজীবন ধরে রাখতে পারে কি না। যদি না হয়, তাহলে এটা অন্তত নিশ্চিত হবে যে, সারা দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীদের একত্রিত যদি ‘মৃত্যুকে থামাতে’ না পারে তাহলে আর কিছুই পারবে না!
Like
Like
Love
Haha
Wow
Sad
Angry