fbpx
হোম আন্তর্জাতিক কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের ওপর হামলা
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের ওপর হামলা

কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের ওপর হামলা

0

কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভান দুকে মারকেজের হেলিকপ্টারে গুলির ঘটনায় দশ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের বামপন্থী সশস্ত্র সংগঠন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির ‘সদস্য’ বলে দাবি করছে কলম্বিয়া পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তাদের গ্রেপ্তারের খবরটি নিশ্চিত করেছেন কলম্বিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল ফ্রান্দিসকো বার্বোসা। খবর রয়টার্সের

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির সশস্ত্র সদস্যরাই এ ঘটনায় জড়িত। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে তিন জন এই হামলার পরিকল্পনা আঁটেন, যাদের মধ্যে সাবেক সেনা অধিনায়কও রয়েছেন। এরা ২০১৬ সালে আমাদের শান্তিচুক্তি প্রত্যাখান করেছিল। এদের সবার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

গত ২৬ জুন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভান দুকে মারকেজ হেলিকপ্টারে করে কলম্বিয়ার উত্তর-পূর্বে নর্তে দে সান্তান্দের প্রদেশে সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। এলাকাটি ভেনেজুয়েলা সীমান্তঘেঁষা। প্রেসিডেন্টকে নিয়ে হেলিকপ্টারটি যখন কুকুতা অঞ্চলের উপর দিয়ে উড়ছিল, তখন হঠাৎই শুরু হয় গোলাগুলি। গুলির আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি। তবে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইভান ও তার সফরসঙ্গীরা।

এর আগে জুন মাসের শুরুতে কলম্বিয়ার একটি সেনাঘাঁটিতেও গাড়ি বোমা হামলা করেছিল সন্ত্রাসীরা। ওই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রে দুজন সামরিক উপদেষ্টাসহ মোট ৪৪ জন আহত হন। ওই ঘটনায় জড়িতদের বিষয়ে তথ্য জানালে ৩ বিলিয়ন পেসো বা ৭ লাখ ৯৬ হাজার ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল কলম্বিয়া সরকার। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী দিয়েগো মোলানোর অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট ইভান দুকে মারকেজের হামলার ঘটনায় মদদ রয়েছে ভেনেজুয়েলা সরকারের।

তার অভিযোগের পেছনে যুক্তি হল, কুকুতা অঞ্চলে হামলার পর কলম্বিয়া পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুটো রাইফেল উদ্ধার করেছে। যার একটি একে-৪৭ রাইফেল ও আরেকটি ৭.৬২ ক্যালিবারের রাইফেল। দেশটির পুলিশ প্রধান জেনারেল জর্জ ভারগাস জানিয়েছেন, এই ধরনের রাইফেল ভেনেজুয়েলার সেনারা ব্যবহার করে।

দিয়াগো মোলানো রয়টার্সকে বলেন, নিশ্চিতভাবেই এ হামলাটি ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির সদস্যরাই করেছে, যাদের মদদ দিচ্ছে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। তিনি জানেন, তার দেশের সীমান্ত এলাকায় এই সন্ত্রাসীরা আস্তানা গেড়েছে। তবুও তিনি চোখে ঠুলি পড়ে বসে আছেন। অবশ্যই দিয়াগো মোলানোর এমন অভিযোগের পর ভেনেজুয়েলা সরকার তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

কলম্বিয়ার বামপন্থী সশস্ত্র সংগঠন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি ভূমি ও সম্পদ বণ্টনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে ১৯৬৪ সাল থেকে লড়ছে। কলম্বিয়া সরকার, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন একে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।

২০১৬ সালে শান্তি চুক্তি প্রত্যাখানের পর কলম্বিয়া সীমান্তে এ সংগঠনের দাপট বাড়লে সরকারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় এতে মদদ দিচ্ছে ভেনেজুয়েলা। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্টও চুপ থাকেননি। তিনি বলেছেন, ভেনেজুয়েলা কলম্বিয়ার সন্ত্রাসীদের দ্বারা আক্রান্ত।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *