তালেবান এখন আরো বেশি আক্রমণাত্মক
২০ বছর আগে ২০০১ সালে ৯/১১-এর পর আমেরিকা আফগানিস্তানে সেনা পাঠিয়েছিল। তালেবান শাসনের পতন হয়েছিল। টুইন টাওয়ারে হামলার ২০তম বার্ষিকী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনী চলে যাবে। ইতিমধ্যেই সেনা সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। তাই তালেবান আরো বেশি আক্রমণাত্মক হয়েছে।
শক্ত ঘাঁটি দক্ষিণ আফগানিস্তান থেকে তারা উত্তর দিকের এলাকা দখলে নিচ্ছে। তাজিকিস্তান-আফগানিস্তানের সীমান্ত শহর দখল করেছে। উত্তরের আরো দুটি জেলা নাহরিন এবং বাঘলান-ই-মারকাজিও কবজা করেছে। আফগানিস্তানে জাতিসংঘের বিশেষ দূত লিওনস জানিয়েছেন, তালেবান ইতিমধ্যেই ৫০টি জেলা দখলে নিয়েছে। তারা আঞ্চলিক রাজধানীগুলোর দিকে এগুচ্ছে। জাতিসংঘের মতে, তালেবানের এই অগ্রসরে শান্তি প্রক্রিয়া ধাক্কা খাবে। আবার উত্তেজনা দেখা দেবে।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, তারা সেনা প্রত্যাহার করবেন। কিন্তু একই সঙ্গে তারা তালেবান অভিযান নিয়ে সব তথ্য জোগাড় করছেন। প্রয়োজন হলে প্রতিবেশী কোনো দেশ থেকে তারা তালেবানের ওপর আঘাত হানবেন।
কিন্তু এই অঞ্চলে নতুন মার্কিন সামরিক ঘাঁটি তৈরি করা কঠিন হবে। বিশেষ করে চীন ও রাশিয়া বিরোধিতা করবে। পাকিস্তানও জানিয়েছে, তারা সেখানে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি করতে দেবে না। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানিয়েছে, প্রায় ৬৫০ জন মার্কিন সৈন্য আফগানিস্তানে থেকে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তারা কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা এবং কূটনীতিকদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে।