মুসলিম খেলোয়াড়দের সংগঠন ‘অ্যাথলিট চার্টার’
মুসলমান পুরুষ ও নারী খেলোয়াড়দের সমর্থন করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের এগিয়ে আসার লক্ষে একটি চার্টার বা সনদ প্রকাশ করা হয়েছে। গত শনিবার এটি প্রকাশ করা হয়, যাকে বলা হচ্ছে ‘মুসলিম অ্যাথলিট চার্টার’। আজ বুধবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি থেকে এ খবর জানা গেছে। এই ধারণা এসেছে এবাদুর রহমানের মাথা থেকে। যিনি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ)-র সঙ্গে কাজ করতেন।সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে ফ্রান্সের ফুটবলার পল পগবা যখন হেইনিকেইন ব্র্যান্ডের একটি বিয়ারের বোতল টেবিল থেকে সরিয়ে রাখেন, তখন সেটা নিয়ে বিস্তর আলোচনার সৃষ্টি হয়। বিয়ার সরিয়ে রাখার পরিপ্রেক্ষিতে অলাভজনক সংস্থা নুজাম স্পোর্টসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী এবাদুর রহমান বলেন, ‘পল পগবার বোতল লুকিয়ে রাখার এই ঘটনা এটা বোঝাচ্ছে যে শিক্ষার প্রয়োজন রয়েছে।’বিবিসি স্পোর্টের শামুন হাফেজ জানিয়েছেন, গত শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে একটি চার্টার বা সনদ প্রকাশ করা হয়েছে, যাকে বলা হচ্ছে ‘মুসলিম অ্যাথলিট চার্টার’। এটিকে ‘এ ধরনের প্রথম’ চার্টার বলে বর্ণনা করা হচ্ছে।
মুসলমান পুরুষ ও নারী খেলোয়াড়দের সমর্থনে যারা এতে স্বাক্ষর করছেন, তারা ‘ইতিবাচক পরিবর্তন’ নিয়ে আসার ব্যাপারে অঙ্গীকার করছে। চার্টার প্রকাশিত হওয়ার আগেই প্রিমিয়ার লিগের পাঁচটি এবং ইএফএলের ১৫টি ক্লাব ইতিমধ্যে একে সমর্থন জানানোর অঙ্গীকার করেছে। এছাড়া ‘কিক ইট আউট’ এবং ফুটবল সাপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের মতো ক্যাম্পেইন গোষ্ঠীগুলো বলছে, তারা এই উদ্যোগের সাথে আছে।প্রকাশিত এই চার্টারে সব মিলিয়ে ১০টি পয়েন্ট রয়েছে, যার মধ্যে অ্যালকোহল পরিহার এমনকি উদযাপনের সময়েও প্রার্থনার জন্য উপযোগী স্থানের ব্যবস্থা করা, হালাল খাবার এবং রমজান মাসে রোজা রাখার অনুমতি দেওয়া।
এই চার্টারটি মুসলিম ফুটবলারদের জন্য বেশ সাহায্যের হবে। কারণ এটি তাদের অধিকার নিশ্চিত করবে। তারা হালাল খাবার পাবেন, ক্যান্টিনে যাওয়ার ক্ষেত্রে দুবার ভাবতে হবে না। ভাবতে হবে না কোনটা খাবো, কোনটা খাবো না যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মুসলমান খেলোয়ারদের মধ্যে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পল পগবা, লিভারপুলের সালাহ এবং মানে, চেলসির এন’গোলো কন্তে ও অ্যান্তোনিও রুডিগাররা বিশ্বব্যাপী বেশ পরিচিত।