করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণের পর পুতিন কন্যার দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি !
সম্প্রতি প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়ে গোটা বিশ্বে রীতিমতো হইচই ফেলে দেয় রাশিয়া। অনেকেই তড়িঘড়ি করে তৈরি করা এই ভ্যাকসিন নিয়ে নানা মতামত ব্যক্ত করলেও এর কার্যকারিতা নিয়ে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মানব ট্রায়ালে পুতিনের কন্যা ইয়েক্যাতেরিনার শরীরেও দেওয়া হয় এই ভ্যাকসিন। এবার তারই সুখবর এসেছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধক ওই ভ্যাকসিন নিয়ে সুস্থ আছেন পুতিন কন্যা। তার দেহে তৈরি হয়েছে অ্যান্টিবডি। রাশিয়া টোয়েন্টি ফোর সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন পুতিন নিজেই। খবর স্পুৎনিক নিউজের।
প্রেসিডেন্ট পুতিন জানিয়েছেন, এই ভ্যাকসিন প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করছে সেটা আমাদের দেশের বিশেষজ্ঞদের কাছে অত্যন্ত স্পষ্ট। এর মাধ্যমে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে, যা আমার মেয়ের ক্ষেত্রেও ঘটেছে। এটি ক্ষতিকর নয়। আমার মেয়ে ভালো আছে। তিনি জানান, ভ্যাকসিন গ্রহণের প্রথম দিন মেয়ের শরীরে তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠেছিল। দ্বিতীয় দিন তাপমাত্রা হয় ৩৭ ডিগ্রির কিছু বেশি। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেওয়ার ২১ দিন ও দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর তাপমাত্রা সামান্য বেড়ে যায়।
পুতিন জানান, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে রাশিয়ার তৈরি আরেকটি ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে। সেপ্টেম্বর মাসে সেটি প্রস্তুত হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, রুশ সংবাদ সংস্থা তাস জানিয়েছে, স্পুৎনিক-৫ হল বিশ্বে প্রথম করোনাভাইরাস প্রতিরোধক ভ্যাকসিন। গত ১১ আগস্ট এই ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। এরপর তার মেয়ের শরীরে ওই ভ্যাকসিন প্রয়োগের কথাও জানান তিনি। বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ স্পুটনিক তৈরি করেছিল পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়ন। সেই ঘটনাকে স্মরণে রেখে মারণ জীবাণু করোনার প্রতিরোধক ভ্যাকসিনের নাম রাখা হয়েছে স্পুৎনিক।