গণমানুষের জন্য সাড়ে ৯৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির এক গবেষণায় উঠে এসেছে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে টানা ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটিতে কাজ হারিয়েছে তিন কোটি ৬০ লাখ মানুষ। অর্থনীতি সমিতি বলেছে, ২৬ মার্চ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত চলা ছুটির সময়ে সব মিলিয়ে দারিদ্র্য সীমার নিচে নেমে গেছে ছয় কোটি ১৫ লাখ মানুষ।
বিশাল এই জনগোষ্ঠীকে সহযোগিতা করতে আগামী অর্থবছরের (২০২০-২১) প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক সুরক্ষার আওতা বাড়াচ্ছে সরকার। একই সঙ্গে বরাদ্দও বাড়াতে যাচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তাঁর বাজেট উপস্থাপনে বলেন, সামাজিক সুরক্ষা খাতে প্রস্তাবিত বাজেটে ৯৫ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা রাখা হয়েছে, যা বাজেটের ১৬.৮৩ শতাংশ এবং জিডিপির ৩.০১ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সামাজিক সুরক্ষায় বরাদ্দ ছিল ৮১ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা। সে হিসাবে আগামী অর্থবছরে বাজেটে সামাজিক সুরক্ষায় বরাদ্দ বাড়ছে ১৩ হাজার ৭০৯ কোটি টাকা।
করোনা মহামারির কারণে সবচেয়ে দারিদ্র্যপ্রবণ ১০০টি উপজেলায় সব দরিদ্র প্রবীণ ব্যক্তিকে বয়স্ক ভাতার আওতায় আনা হবে। এতে করে পাঁচ লাখ নতুন উপকারভোগী যোগ হবে এবং এই খাতে ৩০০ কোটি টাকা বাড়তি বরাদ্দ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, করোনার কারণে সবচেয়ে দারিদ্র্যপ্রবণ ১০০ উপজেলায় সব বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা নারীকে বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা ভাতার আওতায় আনা হবে। এতে তিন লাখ ৫০ হাজার বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা ভাতার আওতায় আসবে। এই খাতে ২১০ কোটি টাকা বাড়তি বরাদ্দ দেওয়া হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী বাজেটে নতুন করে দুই লাখ ৫৫ হাজার নতুন অসচ্ছল প্রতিবন্ধী সামাজিক সুরক্ষায় যোগ হবে। সব মিলিয়ে সামাজিক সুরক্ষায় নতুন করে ১১ লাখ মানুষ যুক্ত হবে। সব মিলিয়ে সামাজিক সুরক্ষা খাতে ৯১ লাখ মানুষ অন্তর্ভুক্ত হবে।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মাতৃত্বকালীন ভাতা, ভিজিডি কার্যক্রম, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা, অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান—এসব কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।