ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৮ মানব পাচারকারীকে আদালতে প্রেরণ
বঙ্গোপসাগরের টেকনাফ উপকূল পয়েন্ট দিয়ে দালালদের প্ররোচণায় চোরাই পথে মালয়েশিয়া পাড়ি দিতে গিয়েই দূঘর্টনার কবলে পড়ে নিহত এবং জীবিত উদ্ধারের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে ।
পৃথকভাবে ট্রলার এবং এলাকা হতে আটক মানব পাচারকারী দালালদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে । জানা যায়, ১২ফেব্রুয়ারি সকালে টেকনাফ বিসিজি ষ্টেশন কোস্টগার্ড কন্টিজেন্ট কমান্ডার এসএম ইসলাম বাদী হয়ে ১৫ জন মৃতদেহ এবং পৃথকভাবে জীবিত ৭৩ জন উদ্ধারের ঘটনায় বাহারছড়া নোয়াখালী পাড়ার হাসান আলীর পুত্র ছৈয়দ আলম (২৭) কে প্রধান আসামী করে ১৯ জনকে এজাহার নামীয় আসামী এবং ৬/৭ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করা হয় ।
এদিকে উদ্ধারস্থল হতে আটক মানব পাচারকারী দালাল কুতুপালং ক্যাম্প সি-৩ এর বাসিন্দা আব্দুস সালামের পুত্র আজিজ (৩০), বালুখালী বি-৩ ক্যাম্পের বাসিন্দা কবির হোসেনের পুত্র ওসমান (১৭), নোয়াখালী পাড়ার হাসান আলীর পুত্র ছৈয়দ আলম (২৭) এবং ফয়েজ আহমদের পুত্র সাইফুলকে আটক করে । এছাড়া বিশেষ অভিযানে আটক নোয়াখালী পাড়ার মাঝি ফয়েজ আহমদ (৪৮), হুমায়ুন কবির (২০), মোহাম্মদ করিম (৪৯), জুম্মা পাড়ার সাদ্দাম হোসেন (২০) ও মোহাম্মদ রফিক (২৬) কে এই মামলায় আটক দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে ।
টেকনাফ বিসিজি ষ্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মো: সোহেল রানা সংবাদকর্মীদের জানান, ১২ ফেব্রুয়ারি বিকাল পর্যন্ত মুমূর্ষবস্থায় মো: আব্দুল্লাহ নামে এক যুবকসহ বঙ্গোপসাগরে জল ও আকাশ পথে অভিযানে মৃত ১৫ জন এবং জীবিত ৭৩ জন উদ্ধার করা হয়েছে । এই ঘটনায় পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে । টেকনাফ মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাস জানান, মালয়েশিয়াগামী ট্রলার ডুবিতে প্রাণহানি এবং জীবিত উদ্ধারের ঘটনায় কোস্টগার্ডের দায়েরকৃত মামলায় পৃথকভাবে আটক ৮ দালালকে কক্সবাজার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে ।