৯ বছরেও হয়নি ফেলানী হত্যার বিচার
আজ সীমান্তে ফেলানী হত্যার ৯ বছর।
কিন্তু কাঙ্ক্ষিত বিচার আজও পায়নি বাবা নুরুল ইসলাম ও মা জাহানারা বেগম। ২০১১ সালের এই দিনে ফুলবাড়ী উপজেলার উত্তর অনন্তপুর সীমান্তে মই বেয়ে কাঁটাতার ডিঙ্গিয়ে বাবার সঙ্গে দেশে ফিরছিল ফেলানী।
এ সময় টহলরত চৌধুরীহাট ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষ তাকে গুলি করে হত্যা করে। ফেলানীর মরদেহ কাঁটাতারেই ঝুলে ছিল সাড়ে চার ঘণ্টা। তার বাড়ি উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের কলোনিটারী গ্রামে। আজ পারিবারিকভাবে পালন করা হচ্ছে ফেলানী হত্যার দিনটি। আয়োজন করা হয়েছে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল।
সোমবার তার বাবা-মা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, মেয়ে হত্যার বিচার চেয়ে মানবাধিকার সংস্থাসহ বহুজনের কাছে গিয়েছি, কিন্তু ৯ বছরেও কাঙ্ক্ষিত বিচার পেলাম না।
ঢাকার নাগরিক পরিষদ গুলশান-২ এ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পার্ক রোড অথবা কূটনৈতিক এলাকায় ১টি রাস্তার নাম ফেলানী সরণি করার জন্য সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে একটি স্মারকলিপি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতের কোচবিহার জেলার বিএসএফ’র ১৮১ সদর দফতরে স্থাপিত জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্টে ফেলানী হত্যার বিচার শুরু হয়। ৫ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে নির্দোষ ঘোষণা করা হয়। রায় প্রত্যাখ্যান করে ১১ সেপ্টেম্বর ফেলানীর বাবা ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে সে দেশের সরকারকে ন্যায়বিচারের আশায় চিঠি দেন।