fbpx
হোম Uncategorized ছাত্রী আত্মহত্যার ঘটনা হৃদয় বিদারক: হাইকোর্ট

ছাত্রী আত্মহত্যার ঘটনা হৃদয় বিদারক: হাইকোর্ট

0

ভিকারুননিসা নূন স্কুলের শিক্ষার্থী অরিত্রি অধিকারীর (১৫) আত্মহত্যার ঘটনাকে হৃদয় বিদারক বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। এছাড়া সন্তানের সামনে বাবা-মাকে অপমান করাকে বাজে দৃষ্টান্ত বলে অভিহিত করেছেন আদালত।

বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত অরিত্রির আত্মহত্যা সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনা হলে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

দৈনিক পত্রিকার প্রতিবেদনগুলো আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন। শুনানিকালে তিনি আদালতকে বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা প্রার্থনা করছি।’

তখন আদালত বলেন, ‘অরিত্রি অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনা খুবই হৃদয় বিদারক। শিক্ষার্থীর সামনে বাবা-মাকে অপমানের ঘটনা বাজে রকমের দৃষ্টান্ত।’

পরে আদালত আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে রিট দায়ের করেন। আমরা বিষয়টি দেখবো।’

ভিকারুননিসা নূন স্কুলের প্রধান শাখার ইংলিশ ভার্সনের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল অরিত্রি। ২ ডিসেম্বর অরিত্রির ইতিহাস পরীক্ষা ছিল। স্কুলে মোবাইল নেওয়া নিষেধ থাকা সত্ত্বেও অরিত্রি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। পরে মোবাইলটি দেখতে পেয়ে শিক্ষকরা তা জব্দ করে এবং অরিত্রিকে পরীক্ষার হল থেকে বের করে দেয়।

৩ ডিসেম্বর সকালে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য স্কুলে যায় অরিত্রি। কিন্তু তাকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না দিয়ে তার বাবা ও মাকে ডেকে পাঠায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। তখন অরিত্রির বাবা ও মা স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপালের কক্ষে যান। ভাইস প্রিন্সিপাল বলেন, ‘মোবাইলে অরিত্রি নকল করছিল।’ এ ঘটনায় অরিত্রির বাবা-মা ক্ষমা চাইলে তাদের প্রিন্সিপালের কক্ষে পাঠানো হয়। প্রিন্সিপালের কক্ষে গিয়েও তারা ক্ষমা চান। কিন্তু প্রিন্সিপাল সদয় হননি। একপর্যায়ে পায়ে ধরে ক্ষমা চান তারা। কিন্তু প্রিন্সিপাল তাদের বেরিয়ে যেতে বলেন এবং অরিত্রিকে টিসি (ছাড়পত্র) দেওয়ারও মৌখিক নির্দেশ দেন। এরপর স্কুল থেকে বের হয়ে অরিত্রির বাবা মেয়ে ও স্ত্রীকে বাসায় নামিয়ে দেন। পরে বিভিন্ন জায়গায় ফোন তিনি তদবির শুরু করেন। এরই মধ্যে বাসা থেকে তাকে জানায়, অরিত্রি রুমের দরজা বন্ধ করে রেখেছে। পরে দরজা ভেঙে অরিত্রিকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতাল হয়ে ঢাকা মেডিক্যালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *