৯০ টাকায় দেশিয় ওষুধে সারবে করোনা রোগী: তারেক আলম
অষ্ট্রেলিয়ায় ইঁদুরের লিভিং টিস্যুতে প্রয়োগে সুফল পাওয়ার পর দেশের একজন চিকিৎসক কয়েকজন করোনা রোগীর চিকিৎসায় এই ওষুধ ব্যবহার করেছেন। তাতে সফলতাও পেয়েছেন।
উকুন এবং খোস পাঁচড়ার জন্য ব্যবহৃত ওষুধ প্রয়োগে প্রাথমিকভাবে করোনার রোগী সুস্থ হওয়ার প্রমাণ মিলেছে।
বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. তারেক আলম এমন তথ্য জানান । বলেন, গত ২ এপ্রিল অস্টেলিয়ার মোনাস ইউনির্ভারসিটির ফার্মেসি বিভাগ একটি গবেষণা প্রকাশ করে। আমরা যে ওষুধ উকুন বা খোস পাঁচড়ার জন্য ব্যবহার করি, সেই ওষুধ তারা ইঁদুরের টিস্যুতে পরীক্ষা করেন। তাতে দেখা যায়-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভাইরাসটি চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার গুণ কমে যায়। এই ওষুধ ৪০ বছর ধরে এফডি এপ্রুভ।
আমাদের দুই-তিনজন চিকিৎসকের কোভিড পজেটিভ হয়ে গেলে হাইডোঅক্সিন ও অ্যাজিথ্রোমাইসিন খাওয়া বা কোভিডের যে চলমান চিকিৎসা সেটা গ্রহণ করতে বলি। যেহেতু কোভিডে নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ নেই, সেক্ষেত্রে তাদের বলি- আপনারা এই ওষুধটি খেয়ে দেখতে চান কি না। খেলে হয়তো তিন-চার দিনে ভাইরাস মুক্ত হয়ে যেতে পারেন। তারা রাজি হওয়ায় তাদের ডক্সিসাইক্লিন ও আইভারমেকটিন দেওয়া হয়। চার দিন পর তাদের পরীক্ষা করা হলে করোনা নেগেটিভ আসে। কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও ছিল না। এদের কোভিড পজিটিভ হলেও কোনো প্রকার লক্ষণ বা উপসর্গ ছিল না।
তিনি বলেন, এরপর আমাদের কয়েকজন নার্সের কোভিড পজিটিভ হয়। চিকিৎসকদের উপসর্গ না থাকলেও নার্সদের মধ্যে ডায়রিয়া-শ্বাসকষ্ট-কাশিসহ কোভিডের একাধিক উপসর্গ ছিল। আমরা তাদের কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পরামর্শ দেই। কিন্তু তারা কোভিড হাসপাতালে যেতে রাজি হয়নি। তারাও এই ওষুধে আগ্রহ প্রকাশ করে।
ডায়রিয়া-জ্বর-কাশির জন্য ওষুধের সাথে ডক্সিসাইক্লিন ও আইভারমেকটিন দিয়ে চিকিৎসা শুরু করা হয় তাদের। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের উপসর্গ ৫০ শতাংশ কমে যায়। পাতলা পায়খানা, কাশি, জ্বর কমে যায় তাদের। তাদেরকে পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করছি। সামনেও আবার পরীক্ষা করব।
ডা. তারেক আলম ওষুধের ডোজ নিয়ে বলেন, প্যারাসিটামল, কাশির সিরাপ-ওষুধ এগুলো তো লেগেছেই। সাথে এই দুটি ওষুধ। আইভারমেকটিনের একটাই ডোজ প্রথমেই দিতে হয়। আর ডক্সিসাইক্লিন ১০ দিন।
এই ওষুধের খুব ভালো এন্টিভাইরাল পোপার্টি আছে জানিয়ে তিনি বলেন, সার্স মহামারীর সময় এটা ব্যবহার করা হয়েছিলো। এটা ডেঙ্গুতেও কাজে লাগে। কিন্তু আমরা ইউজ করিনি।
তবে তিনি বলেন, ওষুধটি ট্রায়াল হবে সরকারিভাবে। আমার পক্ষে তো এতো কিছু করা সম্ভব না। আমার সুপারিশ হবে- যেহেতু এই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই- ঠিক মতো কোয়ারেন্টাইন হচ্ছে না, কোভিড টেস্ট করে পজিটিভ আসলে যাদের হাসপাতালে রাখছেন তাদের এবং যাদের বাসায় থাকতে পরামর্শ দিচ্ছেন, উভয়কেই এই ওষুধ দেওয়া যেতে পারে।