মুসলমানদের ভয়াবহ সংকট নিয়ে যা বললেন এরদোয়ান…
সারাবিশ্বের মুসলমানদের উচিত মুসলিম সম্প্রদায়কে সন্ত্রাসবাদ এবং বর্ণবাদের মতো ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করা। এসবের মাধ্যমে মুসলিম ভ্রাতৃত্ববোধের গভীরে ফাটল ধরানোর ষড়যন্ত্র চলছে বলেও সতর্ক করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোয়ান।
মঙ্গলবার তুরস্কের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ইসলামী সহযোগী সংস্থা’র (ওআইসি) সম্মেলনে ভিডিও লিংকে যুক্ত হয়ে এক বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এ কথা বলেন।
এর আগে ইসরাইল ও কিছু আরব দেশের মধ্যে নতুন সম্পর্ক স্থাপনকে মুসলিম ভ্রাতৃত্ববোধের গভীরে ফাটল ধরানোর একটা ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেছেন ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক দলের নেতারা।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, বর্ণবাদ, জাতীয়তাবাদ, সাম্প্রদায়িকতা এবং সন্ত্রাসবাদের মতো সংকটগুলোকে মুসলিম বিশ্বের গভীরে আঘাত করার জন্য ইস্যু হিসেবে বানানো হয়েছে। বিশ্বব্যাপী গড়ে প্রতিদিন এক হাজার মুসলমান সন্ত্রাসবাদ এবং সংঘাতের শিকার হচ্ছেন।
বলেন, সংকট উপেক্ষা এবং অভ্যন্তরীণ দ্বন্দের কারণে আমরা মুসলমানরা সন্ত্রাসবাদ, ক্ষুধা, অসমতার মতো নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি। প্রতিটি সম্মেলনে রাজনৈতিক যুক্তি-তর্ক নিয়ে আলোচনা, সমঝোতা এবং ভ্রাতৃত্ববোধকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এ কারণে রাজনৈতিক আলোচনার পাশপাশি ধর্মীয় মূলবোধের চর্চা বাড়ানোর জন্য ওআইসির প্রতি আহ্বান জানান এরদোয়ান।
ভুল বোঝাবুঝি এবং ভুল শিক্ষার কারণে মুসলমানরা সমাজে নানা ধরনের সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বাস্তব জীবন এবং ধর্মীয় সর্বজনীনতার মধ্যে শক্তিশালী, দৃঢ়-অবিচল একটি সম্পর্ক গড়ে তোলা জরুরি। পশ্চিমা কিছু দেশের ইসলামোফোবিক (ইসলামভীতি) নীতির তীব্র সমালোচনা করেন প্রেসিডেন্ট।
সর্বশেষ উদাহরণ হিসেবে ফরাসি ইসলাম, ইউরোপীয় ইসলাম এবং অস্ট্রেলিয়ান ইসলামকে তুলে ধরেন এরদোয়ান। এ ধরনের পদক্ষেপের মাধ্যমে বিশেষ করে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখো ইসলাম এবং মুসলমানদের লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন এরদোয়ান।