fbpx
হোম অন্যান্য মন্দির ও প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনার বিচার হয় না: ইসকন
মন্দির ও প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনার বিচার হয় না: ইসকন

মন্দির ও প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনার বিচার হয় না: ইসকন

0

বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও এ যাবৎ ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক ঘটনাগুলোর একটিরও সুষ্ঠু বিচার হয়নি এবং হয় না বলে মন্তব্য করেন আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত (ইসকন) বাংলাদেশের সভাপতি ও সত্য রঞ্জন বারী।

বুধবার (২৩ মার্চ) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশের উগ্র সাম্প্রদায়িকগোষ্ঠী দ্বারা মঠ-মন্দিরে হামলা ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, এখনো দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার, নিপীড়ন ও হামলা চলছে। গত ২১ মার্চ খিলগাঁও, তিলপাপাড়া দেবমন্দিরে প্রতিমা ভাংচুর এর প্রকৃষ্ট প্রমাণ। এভাবে বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও এ যাবৎ ঘটে যাওয়া এ ধরণের সাম্প্রদায়িক ঘটনাগুলোর একটিরও সুষ্ঠু বিচার হয়নি। এমনকি গত কয়েক মাস আগেও দেশজুড়ে ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক চরম সহিংসতার, বিশেষত কুমিল্লা ও নোয়াখালির ঘটনারও কোনো বিচার হয়নি। শুধু আশ্বাসবাণী শোনা গিয়েছিল। দেশের সরকার ও বিভিন্ন মন্ত্রী এ সকল ঘটনার ক্ষতিপূরণ দান ও পুনঃনির্মাণের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তারও কোনো বাস্তবায়ন এখনো হয়নি। যদি প্রথম থেকেই এ ধরণের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতো তাহলে এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতো না।

ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চারুচন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর পূজা কমিটির সভাপতি মনিন্দ্র দেব নাথ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে. এল ভৌমিক, সম্মিলিত সনাতনী পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ হীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্যে সত্য রঞ্জন আরো বলেন, ১৭ মার্চ সন্ধ্যায় রাধাকান্ত জিউ ইস্কন মন্দিরে যেদিন হামলায় হয় সেদিন ছিল জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও হোলি উৎসব। এই দিনে পরিকল্পিতভাবে এই হামলা হয়েছে। এ হামলায় নেতৃত্ব দেয় হাজী মো. সফিউল্লাহ (৬২) ও মো. ইসরাক সুফি (৩১)। ওয়ারী থানার পুলিশ সদস্যদের সামনেই ভাংচুরকারীরা তাদের ভাংচুর চলমান রাখে এবং নীহার হালদারকে টেনে হিচড়ে নিয়ে যায়। তারা তাকে মারধর করে জখম করে এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেয়। সুমন্ত্র চন্দ্র নামে এক ভক্ত তাকে তাদের কাছ থেকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে তাকেও সাত-আট জন মিলে মাটিতে ফেলে দেয়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

মনিন্দ্র দেব নাথ বলেন, আমরা জাতির জনকের মৃত্যুর পর থেকে হিন্দু জনগোষ্ঠীর উপর যে অত্যচার দেখছি তা অত্যন্ত কষ্টকর। যারা হিন্দুদের উপর অঘাত করে তারা অস্প্রদায়িক বাংলাদেশের উপর আঘাত করে। তাই দেশ রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

সম্মেলনে হিন্দু সম্প্রদায়কে রক্ষায় ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবি জানায় বক্তারা।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *