বাংলাদেশ-ভারত একাত্তরের রক্তের রাখিবন্ধনে আবদ্ধ : ওবায়দুল কাদের
বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক একাত্তরের রক্তের রাখিবন্ধনে আবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, বর্তমানে দুই দেশের বন্ধুত্ব ইতিহাসের যেকোনো সময়ের চেয়ে উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ।
মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় অবস্থিত সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়ে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্মাষ্টমী পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সেতুমন্ত্রী এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, হাজার বছর ধরে বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীরা এদেশে পারস্পরিক সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে বসবাস ও ধর্মচর্চা করে আসছে। সমকালীন বিশ্বে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল নিদর্শন বাংলাদেশ। এখানে মসজিদ এবং পূজামণ্ডপ পাশাপাশি, এক ধর্মের মানুষ অন্য ধর্মের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। বিপদে-আপদে সহযোগী আর সহমর্মী হয়। আবহমানকাল থেকেই এ চর্চা হয়ে আসছে এই বদ্বীপ জনপদে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের উন্নয়নে যেমন প্রয়োজন অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা, তেমনই প্রয়োজন প্রতিবেশী দেশের সাথে সুসম্পর্ক। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে কোনো দেশই প্রতিবেশীর সাথে খারাপ সম্পর্ক রেখে এগুতে পারে না। এ বাস্তবতায় বাংলাদেশ-ভারত তথা শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদি সরকারের সম্পর্ক সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। দুই দেশের সম্পর্ক একাত্তরের রক্তের রাখিবন্ধনে আবদ্ধ। বর্তমানে এ বন্ধুত্ব ইতিহাসের যেকোনো সময়ের চেয়ে উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিবেশীর সাথে ভালো বোঝাপড়া থাকলে অনেক অমীমাংসিত ইস্যু সহজে সমাধান সম্ভব, যার প্রমাণ বাংলাদেশ ও ভারত। দীর্ঘদিনের সীমান্ত সমস্যা, শান্তিপূর্ণভাবে ছিটমহল বিনিময় পারস্পরিক আস্থা বাড়িয়ে তুলেছে। বাংলাদেশের সমুদ্রজয়ের মামলায় ভারত আপিল না করে বন্ধুসুলভ যে আচরণ করেছে তা সম্পর্কের সূত্রকে করেছে আরও সুদৃঢ়। আস্থা ও বিশ্বাসের যে সেতুবন্ধন তৈরি হয়েছে তার মাধ্যমে তিস্তা সমস্যা ও অন্যান্য নদীর পানি বণ্টনের আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর দেশে শারদীয় দুর্গোৎসবসহ অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের উৎসব যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে। গতবছর সারাদেশে ৩২ হাজার ৩২৮টি মণ্ডপে পূজা উদযাপন হয়েছিল, প্রতিবছর এ সংখ্যা বাড়ছে। শেখ হাসিনা সরকার ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য এবং সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদানের মাধ্যমে পূজা উদযাপনে সহযোগিতা করে আসছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশে যারা হত্যা ষড়যন্ত্রের রাজনীতির সূচনা করেছে ও লালন করেছে, সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ বড় করে তুলেছে তারাই হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের জীবন এবং সম্পদের ওপর বারবার আঘাত হেনেছে। আর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পরমবন্ধু হিসেবে পাশে থেকেছে। উন্নয়ন, মানবিকতা ও সম্প্রীতির শত্রু সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিষবৃক্ষকে উপড়ে ফেলতে আসুন, শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করি।