fbpx
হোম জাতীয় পানির পাঁচ রকম দাম নির্ধারণ করতে চায় ঢাকা ওয়াসা
পানির পাঁচ রকম দাম নির্ধারণ করতে চায় ঢাকা ওয়াসা

পানির পাঁচ রকম দাম নির্ধারণ করতে চায় ঢাকা ওয়াসা

0

ঢাকা ওয়াসা গত ১৪ বছরে ১৪ বার পানির দাম বাড়িয়েছে। এবার ঢাকার বাসিন্দাদের আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী পানির দাম নির্ধারণ করতে চায় সংস্থাটি। ঢাকা ওয়াসার করা কারিগরি সমীক্ষায় বর্তমান দামের তুলনায় শ্রেণিভেদে ২৪ থেকে ১৪৭ শতাংশ পর্যন্ত পানির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এ প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে নিম্নমধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত—সব শ্রেণির গ্রাহকেরই খরচ বাড়বে।
ঢাকা ওয়াসার দাবি, উৎপাদন খরচের তুলনায় গ্রাহককে কম দামে পানি দেওয়া হচ্ছে। প্রতি ইউনিট (১ হাজার লিটার) পানিতে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে ১০ টাকা। এই ভর্তুকি কমিয়ে সংস্থার লাভ বাড়াতে পানির দাম সমন্বয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী নতুন পানির দাম কার্যকর করতে চায় সংস্থাটি।
যদিও সংস্থাটির কর্মকর্তারাসহ নগরবিদেরা বলছেন, পানির দাম বাড়িয়ে ওয়াসা নিজের অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের দায় জনগণের ঘাড়ে চাপাতে চাইছে। পানির প্রকৃত উৎপাদন ব্যয় কম। উচ্চ সুদে বৈদেশিক ঋণের টাকায় প্রকল্প করছে ওয়াসা। এসব ঋণের দায় চাপছে জনগণের ঘাড়ে। অন্যদিকে ঋণের টাকায় করা প্রকল্পের সুফল পুরোপুরি পাওয়া যাচ্ছে না।
এ ছাড়া ঢাকা ওয়াসায় ‘সিস্টেম লস’ (ব্যবস্থাগত অপচয়) ২০ শতাংশ। এ অপচয় কমাতে পারলে ওয়াসাকে পানির দাম বাড়াতে হতো না। সব খরচ বাদ দিয়ে ঢাকা ওয়াসা প্রতিবছর লাভ দেখায় প্রায় ৫০ কোটি টাকা। লাভে থাকা একটি প্রতিষ্ঠানের ভর্তুকির কথা বলে পানির দাম বাড়ানোর বিষয়টি অযৌক্তিক বলে মনে করেন তাঁরা।
ঢাকা ওয়াসা কয়েক বছর ধরেই গ্রাহকের আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী পানির দাম নির্ধারণের পরিকল্পনা করছে। বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের একটি বক্তব্যে। গত রোববার ঢাকা ওয়াসা ভবনে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ভর্তুকি দিয়ে ঢাকায় ধনীদের পানি সরবরাহ করা উচিত নয়। ঢাকা ওয়াসার এক হাজার লিটার পা‌নি উৎপাদনে খরচ হয় ২৬ থেকে ৩০ টাকা। বিক্রি করছে ১৫ টাকায়। সরকার কি বা‌কি ১৫ টাকা ভর্তুকি দিতে থাকবে?
বর্তমানে আবাসিক গ্রাহকদের জন্য ঢাকা ওয়াসার প্রতি ১ হাজার লিটার পানির দাম ১৫ টাকা ১৮ পয়সা। ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবাইকে এই হারে পানির বিল দিতে হয়। আর বাণিজ্যিক গ্রাহকদের প্রতি হাজার লিটার পানির বিল দিতে হয় ৪২ টাকা।
উৎপাদন খরচ ও ভর্তুকি নিয়ে ধোঁয়াশা
ঢাকা ওয়াসার প্রতি ইউনিট পানির উৎপাদন খরচ নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। ২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ওয়াসা ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান বলেছিলেন, পানির উৎপাদন ব্যয় ও বিক্রয়মূল্যের মধ্যে অনেক ব্যবধান। প্রতি ১ হাজার লিটার পানির উৎপাদন খরচ গড়ে ২৫ টাকা। বিক্রি করা হচ্ছে ১৫ টাকায়।
তবে ওয়াসার একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পানির উৎপাদন খরচের যে তথ্য ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ দিচ্ছে, তা বাস্তবসম্মত নয়। ২৫ টাকা উৎপাদন খরচ ভূ-উপরিস্থ উৎস থেকে পরিশোধন করা পানির। কিন্তু বর্তমানে ঢাকা ওয়াসার সরবরাহ করা পানির ৭০ ভাগই গভীর নলকূপ বা ভূগর্ভস্থ উৎসের। বাকি ৩০ শতাংশ ভূ-উপরিস্থ উৎস থেকে পরিশোধন করা। গভীর নলকূপের পানির উৎপাদন খরচ অনেক কম। সে হিসাবে প্রতি এক হাজার লিটার পানিতে ১০ টাকা ভর্তুকির বিষয়টি সঠিক নয়।
এ বিষয়ে ঢাকা ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ) এ কে এম সহিদ উদ্দিন গতকাল সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘উৎপাদন খরচের সঙ্গে অনেক বিষয় জড়িত। সব উৎসের পানির একটি গড় খরচ ধরা হয়। মন্ত্রী যেটা বলেছেন, সেই ২৫-২৬ টাকাই প্রতি ইউনিটের উৎপাদন খরচ।’
যাঁরা ২ হাজার ৫০০ বর্গফুটের বেশি আয়তনের বাসায় থাকেন, তাঁরা উচ্চবিত্ত; ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ বর্গফুটের বাসায় যিনি থাকছেন, তিনি উচ্চমধ্যবিত্ত; ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ বর্গফুটের বাসায় বসবাসকারীদের মধ্যবিত্ত এবং ১ হাজার বর্গফুটের নিচে বসবাসকারীদের নিম্নমধ্যবিত্ত হিসেবে ধরা হয়েছে। আর বস্তির বাসিন্দাদের নিম্ন আয়ের মানুষ হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
তবে পানির উৎপাদন খরচ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় খুলনা ও রাজশাহী ওয়াসার পানির উৎস ও উৎপাদন ব্যয়ের চিত্র থেকে। বর্তমানে খুলনা ওয়াসার সরবরাহ করা পানির ৪০ শতাংশের মতো ভূ-উপরস্থ উৎসের। ৫৮ কিলোমিটার দূরের মধুমতি নদী থেকে পানি এনে শোধন করছে সংস্থাটি। খুলনা ওয়াসা সূত্রে জানা যায়, এই শোধনাগারে প্রতি ইউনিট পানির উৎপাদন খরচ ১৭ টাকার মতো।
অন্যদিকে রাজশাহী ওয়াসার সরবরাহ করা পানির ৯০ শতাংশই ভূগর্ভস্থ থেকে তোলা। রাজশাহী ওয়াসা সূত্র জানিয়েছে, ভূগর্ভ থেকে প্রতি ইউনিট পানির উৎপাদন খরচ পড়ে ৮ টাকা ৯০ পয়সা। রাজশাহী ওয়াসা আবাসিকে পানি দিচ্ছে প্রতি ইউনিট ৬ টাকা ৮১ পয়সায়।
ঋণের চাপ, অব্যবস্থাপনার বোঝা গ্রাহকের ঘাড়ে
ঢাকা ওয়াসার প্রকল্প বাস্তবায়নের ধীরগতির কারণে সংস্থাটির ব্যয় বাড়ছে। সংস্থাটির অধিকাংশ প্রকল্প বৈদেশিক ঋণের টাকায় করা হচ্ছে। বিপুল ঋণ নিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের কারণে ঢাকা ওয়াসাকে ঋণের সুদ ও আসলের কিস্তি পরিশোধে বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। বর্তমানে বিভিন্ন প্রকল্পে ঢাকা ওয়াসার বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকা। ঢাকা ওয়াসার প্রকল্প বাস্তবায়নের মাসিক অগ্রগতি প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিদেশি ঋণের এ হিসাব পাওয়া যায়। তবে ডলারের বিপরীতে টাকার বড় ধরনের অবমূল্যায়ন হওয়ায় ওয়াসার ঋণের পরিমাণ (টাকার অঙ্কে) আরও বাড়বে বলে ধারণা করছেন কর্মকর্তারা।
কতটা ‘ঘুরে দাঁড়াতে’ পারল ঢাকা ওয়াসা
ঋণের টাকায় করা প্রকল্পের সুফলও পুরোপুরি পাওয়া যাচ্ছে না। পদ্মা নদীর পানি রাজধানীতে সরবরাহ করতে ৩ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মা-যশলদিয়া পানি শোধনাগার নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু এ শোধনাগার থেকে পানি রাজধানীতে সরবরাহ করার নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়নি। এ কারণে শোধনাগারের সক্ষমতার প্রায় অর্ধেক অব্যবহৃত থাকছে। এক হিসাবে দেখা যায়, পুরোটা ব্যবহার করতে পারলে আরও ১১০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের পানি সরবরাহ করা সম্ভব হতো।
ঢাকা ওয়াসা দিনে যত পানি উৎপাদন করে, তার ২০ শতাংশই কাগজে-কলমে ‘সিস্টেম লস’ (কারিগরি অপচয়)। নগরবিদেরা বলছেন, কোনো প্রতিষ্ঠানে ৫ শতাংশের বেশি সিস্টেম লস অদক্ষতা ও অব্যবস্থাপনার প্রমাণ। ওয়াসার অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পানির অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে টাকা নেন।
সিস্টেম লসের এ অপচয় কমানো গেলে ওয়াসাকে পানির দাম বাড়াতে হতো না।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি নগরবিদ আদিল মুহাম্মদ খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওয়াসা কিছু শ্বেতহস্তী প্রকল্প নিয়েছে। ঋণের টাকায় নেওয়া প্রকল্পের ব্যয়ভার গ্রাহককে নির্বাহ করতে হচ্ছে। দেশের অন্য ওয়াসার তুলনায় ঢাকার গ্রাহকদের বেশি দাম দিতে হচ্ছে।’
অযৌক্তিক ব্যয়ভার চাপানো উচিত নয়
ঢাকার বাসিন্দাদের আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী পানির দাম নির্ধারণ করতে এরই মধ্যে এলাকাভিত্তিক পানির মূল্য নির্ধারণবিষয়ক টেকনিক্যাল স্টাডি (কারিগরি সমীক্ষা) করেছে সংস্থাটি। নিম্ন আয়ের মানুষ, নিম্নমধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত, উচ্চমধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত—এই পাঁচ শ্রেণিতে ভাগ করে পানির দাম নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে সংস্থাটি। এলাকাভিত্তিক দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট এলাকার মৌজা দর, গৃহকর ও মাসিক আয়কে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। তবে এই প্রস্তাবিত দাম নিয়ে সুবিধাভোগীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে বিশদ আলোচনার পর তা চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা ওয়াসা।
সমীক্ষায় যুক্ত ব্যক্তিরা বলছেন, বিশ্বের অন্য কোনো দেশে এভাবে পানির দাম নির্ধারণের বিষয় তাঁদের জানা নেই। অন্যান্য দেশে যত বেশি ব্যবহার, সে অনুপাতে দাম নির্ধারণের পদ্ধতি আছে। এ পদ্ধতিকে ইনক্রিসিং ব্লক ট্যারিফ (আইবিটি) বলে।
ধনী-গরিব কারও ওপরেই অযৌক্তিক ব্যয়ভার চাপানো উচিত নয়। ঢাকা ওয়াসার অস্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা নীরব থাকেন। ওয়াসা একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, পানির দাম নির্ধারণে বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত।
আদিল মুহাম্মদ খান, সভাপতি, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স
৩৬৭০ কোটি টাকার প্রকল্প, সক্ষমতার অর্ধেক অব্যবহৃত
ঢাকা ওয়াসার বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক উত্তম কুমার রায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘যত তাড়াতাড়ি করা যায়, আমরা দাম সমন্বয় করতে চাই। তবে দাম নির্ধারণে কয়েকটি ধাপ ও প্রক্রিয়া রয়েছে। সমীক্ষায় যে প্রস্তাব ছিল, তা নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। ঢাকা ওয়াসার গ্রাহকদের সুবিধা-অসুবিধা মাথায় রেখেই দাম নির্ধারণ হবে।’
ওয়াসার প্রস্তাবে প্রতি ১ হাজার লিটার পানির দাম নিম্নমধ্যবিত্তদের জন্য ১৮ টাকা ৭৫ পয়সা, মধ্যবিত্তদের জন্য ২৫ টাকা, উচ্চমধ্যবিত্তদের জন্য ৩১ টাকা ২৫ পয়সা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আর উচ্চবিত্তদের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে ৩৭ টাকা ৫০ পয়সা। এ প্রস্তাব অনুমোদিত হলে উচ্চবিত্তদের প্রতি ১ হাজার লিটার পানি বর্তমান দামের চেয়ে ২২ টাকা ৩২ পয়সা বেশি দিতে হবে। উচ্চমধ্যবিত্তদের বেশি দিতে হবে ১৬ টাকা ৭ পয়সা, মধ্যবিত্তদের ৯ টাকা ৮২ পয়সা ও নিম্নমধ্যবিত্তদের প্রায় ৪ টাকা বেশি দামে পানি কিনতে হবে।
বর্তমানে ঢাকা ওয়াসার পানি ব্যবহারকারীদের মধ্যে সাড়ে ৮৩ শতাংশই মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত। ফলে এলাকাভিত্তিক পানির দামের প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে এই দুই শ্রেণির মানুষকেই বেশি দাম দিতে হবে।
ঢাকা ওয়াসা দিনে যত পানি উৎপাদন করে, তার ২০ শতাংশই কাগজে-কলমে ‘সিস্টেম লস’ (কারিগরি অপচয়)। নগরবিদেরা বলছেন, কোনো প্রতিষ্ঠানে ৫ শতাংশের বেশি সিস্টেম লস অদক্ষতা ও অব্যবস্থাপনার প্রমাণ। ওয়াসার অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পানির অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে টাকা নেন। সিস্টেম লসের এ অপচয় কমানো গেলে ওয়াসাকে পানির দাম বাড়াতে হতো না।
সমীক্ষাসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আর্থিক সামর্থ্যের শ্রেণিবিভাজনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড-২০০০ বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। যাঁরা ২ হাজার ৫০০ বর্গফুটের বেশি আয়তনের বাসায় থাকেন, তাঁরা উচ্চবিত্ত; ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ বর্গফুটের বাসায় যিনি থাকছেন, তিনি উচ্চমধ্যবিত্ত; ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ বর্গফুটের বাসায় বসবাসকারীদের মধ্যবিত্ত এবং ১ হাজার বর্গফুটের নিচে বসবাসকারীদের নিম্নমধ্যবিত্ত হিসেবে ধরা হয়েছে। আর বস্তির বাসিন্দাদের নিম্ন আয়ের মানুষ হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে ঢাকা ওয়াসার বাণিজ্যিক গ্রাহকদের প্রতি হাজার লিটার পানির জন্য ৪২ টাকা দিতে হয়। নতুন করে শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রতি হাজার লিটার পানির দাম ৫০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
ঢাকা ওয়াসার পানির দাম নির্ধারণে অস্বচ্ছতা রয়েছে বলে মনে করেন নগরবিদ আদিল মুহাম্মদ খান। তিনি বলেন, ‘ধনী-গরিব কারও ওপরেই অযৌক্তিক ব্যয়ভার চাপানো উচিত নয়। ঢাকা ওয়াসার অস্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা নীরব থাকেন। ওয়াসা একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, পানির দাম নির্ধারণে বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত।’

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *