৬৯-র মতো আরেকটি গণজাগরণ দরকার: সাইফুল হক
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, ভোটের অধিকার হরণ করে একদলীয় শাসন কায়েম করা হয়েছে। ফলে গণতান্ত্রিক ধারায় সরকার পরিবর্তনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় ’৬৯-র মতো আরেকটি গণজাগরণ দরকার।
আজ শনিবার (২০ জানুয়ারি) শহীদ আসাদ দিবস উপলক্ষে ’৬৯-র গণ-অভ্যুত্থানের বীর শহীদ আসাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের কাছে—এসব কথা বলেন সাইফুল হক। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আসাদ স্মৃতিবেদীতে এ পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
সাইফুল হক বলেন, ‘আসাদ যে অধিকার, মুক্তি ও গণতন্ত্রের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন ৫৩ বছরে স্বাধীন বাংলাদেশে তা আজও অর্জিত হয়নি। বরং তার বিপরীত দিকে দেশকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। শাসকগোষ্ঠী শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গণতন্ত্রের পরিবর্তে ভোটের অধিকার হরণ করে ডামি নির্বাচনের সরকার প্রকারান্তরে একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন কায়েম করেছে। নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক ধারায় সরকার পরিবর্তনের পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছে। দেশের বহুত্ববাদী অবশিষ্ট গণতান্ত্রিক কাঠামো ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এই পরিস্থিতি দেশকে কেবল অনিবার্য বিপর্যয়ের পথে নিয়ে চলেছে। এই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে ’৬৯-র মতো আরও একটি গণজাগরণ, গণ-অভ্যুত্থান জরুরি হয়ে দেখা দিয়েছে।’ সেই লক্ষ্যে দেশের সব প্রগতিশীল ও দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক শক্তিকে যুগপৎ ধারায় আন্দোলন জোরদার করার উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি।
এদিন শহীদ আসাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন—বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মীর রেজাউল আলম, সংগঠক শাহাদাৎ হোসেন শান্ত, আবুল কালামসহ অন্যান্যরা।
ইত্তেফাক