সৌদি থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ৭৫ বাংলাদেশি
দেশে ফেরত আসা নরসিংদীর সজিব হোসেন বলেন, তিনি ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা খরচ করে আলফালা কোম্পানিতে গিয়েছিলেন মশা নিধন কর্মী হিসেবে কাজ করতে যান। কিন্তু গিয়ে কাজ পান একটি সাপ্লাই কোম্পানিতে। তবে এক বছরেও কোনো বেতন না পেয়ে বাড়ি থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে শূন্য হাতে দেশে ফিরেছেন।
ফরিদপুরের মামুন মিয়া জানান, সাড়ে চার বছর সৌদি আরবে ছিলেন। আকামা নবায়নের জন্য কফিলকে (নিয়োগকর্তা) টাকাও দিয়েছিলেন। কিন্তু কফিল আকামা নবায়ন করেননি। অভিযানে গ্রেফতার হলে কফিল তার দায়িত্বও নেয়নি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাসুম মিয়ার অভিযোগ, আট মাসের আকামার মেয়াদ থাকলেও রাস্তা থেকে ধরে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে পাঠানো হয়েছে তাকে। বলেন, সৌদি আরবে ৯ বছর বৈধ আকামা নিয়ে কাজ করতেন। কেন তাকে পাঠানো হলো জানেন না।
মো. জুয়েলের বাড়ি মৌলভীবাজার। তিনি জানান, মাত্র এক মাস আগে গিয়েছিলেন। কিন্তু ধরপাকড়ের অভিযানে তাকেও শূন্য হাতে দেশে ফিরতে হলো।
একইভাবে ফেনীর মিজবাহ আড়াইমাস, গাইবান্ধার মাহাবুব পাঁচ মাস, সাদিরুল সাত মাস, কুমিল্লার জুয়েল আট মাস আগে গিয়েছিলেন সৌদি আরবে। কিন্তু ধরপাকড়ে তাদের খালি হাতে দেশে ফিরতে হয়েছে।
ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান জানান, চলতি বছর এখন পর্যন্ত প্রায় ২১ হাজার বাংলাদেশিকে সৌদি আরব থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। সেপ্টেম্বর থেকে ধরপাকড়ের পরিমাণ অনেক বেড়েছে।