fbpx
হোম জাতীয় সার্চ কমিটির কাছে ৪ প্রস্তাব
সার্চ কমিটির কাছে ৪ প্রস্তাব

সার্চ কমিটির কাছে ৪ প্রস্তাব

0

নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটির কাছে চার দফা প্রস্তাব জানিয়েছে নাগরিক সংগঠন ‘সুজন’। সার্চ কমিটি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে পারছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহও প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।

বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় শুরু হওয়া নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মলনে এসব কথা বলা হয়।

সুজনের চার প্রস্তাব হচ্ছে-

সার্চ কমিটিকে পরিপূর্ণ স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা প্রদর্শনের মাধ্যমে আস্থার সংকট দূর করার জন্য তার কার্যপদ্ধতি অবিলম্বে জনগণকে অবহিত করতে হবে।

একইসঙ্গে কী মানদণ্ডের ভিত্তিতে ও কী পদ্ধতিতে কমিটি তার বিবেচনাধীন ব্যক্তিদের সুনাম যাচাই করবে এবং তাঁদেরকে অনুসন্ধান করে বের করবে তাও জনগণকে জানাতে হবে।

পরিপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করতে হবে। সার্চ কমিটির প্রাথমিকভাবে প্রকাশিত ৩২২ জনের (সঠিক সংখ্যা ৩১৫ জন) নামের পাশাপাশি প্রস্তাবকরী ব্যক্তি, রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠনের নাম প্রকাশ করতে হবে। প্রাথমিক তালিকা থেকে অন্তত এক-তৃতীয়াংশ নারীসহ ২০-৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি ও প্রকাশ করতে হবে। এ তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, তাঁদের সম্পর্কে শুনানি এবং বিভিন্ন সূত্র থেকে তাঁদের সম্পর্কে তথ্য নিতে হবে।

অনুসন্ধানের ভিত্তিতে পরিপূর্ণ সতর্কতা ও যথাযথ বিবেচনাশক্তি কাজে লাগিয়ে একটি প্রতিবেদনসহ ১০ জনের চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করতে হবে। রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর তিন দিন আগে প্রতিবেদনটিসহ চূড়ান্ত তালিকা জনগণের অবগতির জন্য প্রকাশ করতে হবে।

সার্চ কমিটির কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর কমিটির কাজের প্রসেডিংসহ একটি প্রতিবেদন প্রণয়ন ও প্রকাশ করতে হবে।

‘সুজন’ সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, আইনবিদ ড. শাহদীন মালিক, পরিবেশ আইনজীবী সমিতির প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান চৌধুরী, দিলীপ কুমার সরকার, জাকির হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ড. শাহনাজ হুদা, সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ, সিকান্দার খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, সার্চ কমিটির কাছে থাকা ৩১৯ জনের তালিকা থেকে কাকে কী কারণে বাদ দেওয়া হবে তা প্রকাশ করতে হবে।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বলা হচ্ছে- প্রস্তাবকারী দল/সংগঠন/ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ হলে বিতর্ক হবে। আমরা সে বিতর্ক চাই এবং এখনই এ বিতর্ক হওয়া দরকার।

ড. শাহদীন মালিক বলেন, ‘আমরা ভালো নির্বাচন চাই। এজন্য তার আগে ভালো নির্বাচন কমিশন চাই। গত কয়েকদিন সার্চ কমিটি যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তা আগের তুলনায় ভালো। নির্বাচন কমিশন যদি দলনিরপেক্ষ না হয়, তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা কম। ‘ তিনি সার্চ কমিটিকে আরো সময় নেওয়ারও প্রস্তাব দেন।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, জাতীয় সংসদের আগের দুইটি নির্বাচনে ‘জনগণই ক্ষমতার উৎস’- এই সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে। জনগণের অধিকার আবার ফিরিয়ে দিতে হবে। এজন্য এবারের নির্বাচন কমিশন কেমন হবে তা জানতে সবাই আগ্রহী।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *