সরাইলে স্কুল শিক্ষিকার আত্মহত্যা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পারিবারিক কলহের জেরে মণি রানী নাগ (৩৮) নামে এক স্কুল শিক্ষিকা গতকাল রবিবার বিকেলে আত্মহত্যা করেছেন। বিয়ের পর থেকে ১৮ বছর ধরে পরিবারে অশান্তি চলতে থাকায় তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মণি নাগ উপজেলার কালিশিমুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। তিনি উপজেলার শাহবাজপুরের অজিত নাগের একমাত্র মেয়ে।
তার স্বামী উপজেলার অরুয়াইলের ফটো স্টুডিও ব্যবসায়ী অনিক রায়। ঘটনার পর পুলিশ তার স্বামীকে আটক করেছে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্র জানায়, প্রায় ১৮ বছর আগে মণি রাণী নাগকে উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের সাহাপাড়ার জিতু রায়ের ছেলে অনিক রায়ের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের সময় যৌতুক হিসাবে মণির বাবা অনিককে দুই লাখ টাকার আসবাবপত্র দিয়েছিলেন।
বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই মণি’র উপর অত্যাচার নির্যাতন শুরু করেন স্বামী অনিক। বিয়ের দুই বছর পর মণি কালিশিমুল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োগ পান। এরই মাঝে তাদের সংসারে দুটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতি ছিল তাদের নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়।
এসব ঘটনায় তাদের মধ্যে মামলা মোকদ্দমাও হয়। দুটি মেয়ের কথা ভেবে বিষয়টি সালিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়। এরপরও পারিবারিক কলহ লেগেই ছিলো রবিবার দুপুরের পর চালে দেওয়ার ‘কেড়ির বড়ি’ খেয়ে ফেলেন মণি নাগ। পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি আঁচ করতে পেরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মণির চিকিৎসা শুরু করেন।
এরই মধ্যে পালিয়ে যায় স্বামী অনিক। কিছুক্ষণ পর মণি রানী নাগ মারা যান।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়। তার স্বামী অনিক রায়কে আটক করা হয়েছে। মণি রানীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্যে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।