fbpx
হোম অনুসন্ধান অপরাধবার্তা শিক্ষককে স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করল শিক্ষার্থী
শিক্ষককে স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করল শিক্ষার্থী

শিক্ষককে স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করল শিক্ষার্থী

0

সাভারের আশুলিয়ায় ছাত্রের স্ট্যাম্পের আঘাতে গুরুতর আহত উৎপল কুমার সরকার (৩৫) নামে এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ওই ছাত্র পলাতক রয়েছে।

আজ সোমবার (২৭ জুন) সকালে শিক্ষকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন এনাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের ইনচার্জ ইউসুফ আলী।

এর আগে ভোর সোয়া পাঁচটার দিকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ওই শিক্ষক।

ছাত্রের নির্মম মারধরে মারা যাওয়া শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার সিরাজগঞ্জ জেলার উল্যাপাড়া থানার এঙ্গেলদানি গ্রামের মৃত অজিত সরকারের ছেলে। আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকার হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের কলেজ শাখার রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ও শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।

অভিযুক্ত ওই ছাত্র একই স্কুলের দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।

এর আগে শনিবার (২৫ জুন) দুপুর দুইটার দিকে ওই স্কুলমাঠে শিক্ষককে স্ট্যাম্প দিয়ে বেধড়ক মারধর করে ওই শিক্ষার্থী। পরে আহত অবস্থায় এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে মৃত্যু হয় শিক্ষক উৎপল কুমারের। নিহতের ভাই অসীম কুমার সরকার বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি মেয়েদের ইভটিজিংসহ নানা উচ্ছৃঙ্খলতার কারণে শাসন করায় আমার ভাইকে হত্যা করেছে ওই ছাত্র। আমি প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে এর উপযুক্ত বিচার চাই।

স্কুলের এক কর্মচারী হামলার সময়কার বর্ণনা দিয়ে বলেন, হামলার সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলে সে। তখন বুঝতে পারিনি। তবে হামলার পর বুঝেছি, সিসিটিভিতে ধরা পড়ার ভয়েই মূলত সে এই কাজ করেছিল।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক বলেন, নিহত শিক্ষক প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি থাকায় নিয়মকানুন মানাতে সব শিক্ষার্থীকে শাসন করতেন। তিনি ওই ছাত্রকেও শাসন করায় এই নির্মম ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। অভিযুক্ত কিশোরসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *