শাহজাদপুরে সওজ’র উচ্ছেদ অভিযান শুরু; সুইট ড্রীম না ভাঙায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পৌর শহরের বিসিক বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সওজ এর জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা শতাধিক স্থাপনা ভেঙ্গে দিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
রবিবার (২৪ জুলাই) সকাল ১০টায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যেই সওজ’র জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করা হয়।
দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, বগুড়া – নগরবাড়ি মহাসড়কের বিসিক বাসস্ট্যান্ড সড়কের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা মুদি দোকান, খাবারের হোটেল, ঔষধের দোকান, বাসের কাউন্টারসহ কাঁচা-পাকা বহু স্থাপনা বুলডোজর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভেঙে ফেলা এসব স্থাপনা থেকে মালিকেরা ইট, কাঠ, লোহার রড, টিনসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র কুড়িয়ে নিচ্ছেন। এসময় অভিযান স্থলে শতশত উৎসুক জনতা ভিড় জমান।
সওজ সিরাজগঞ্জ কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এখানে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে সওজের জায়গা দখল করে অনেকেই ব্যবসা করে আসছিলেন। কেউ কেউ স্থাপনা নির্মাণ করে ভাড়াও দিয়েছিলেন। এসব দখলদারকে সওজের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে অবৈধ দখল ছাড়তে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলেও তার প্রতি কেউই গুরুত্ব দেননি।
সর্বশেষ গত ২১ জুলাই বৃহস্পতিবার মাইকিং করে জানিয়ে দেয়ার পর রবিবার (২৪ জুলাই) সকালে সওজের আইন ও সম্পত্তি বিষয়ক উপ সচিব কামরুজ্জামান মিয়ার নেতৃত্বে এ কার্যক্রম শুরু হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত ও সওজ পাবনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল মনসুর আহমেদ। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত টানা অভিযান শেষে প্রথম দিনের কার্যক্রম সমাপ্ত করা হয়।
এ সময় ভুক্তভোগী দোকানীরা বলেন, “সরকারী জায়গা দখলমুক্ত করে রাস্তা সম্প্রসারণ বা উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করলে আমাদের কোন আপত্তি নেই। তবে দোকানঘর ভেঙ্গে এসব জায়গা ফেলে রাখলে কিছুদিন পর আবার আগের মতই দখল হয়ে যাবে। মাঝখানে শুধু আমাদের আর্থিক কিছুটা ক্ষতি হবে।”
এদিকে শতাধিক স্থাপনা ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হলেও সাবেক এমপি হাসিবুর রহমান স্বপনের হাতে গড়া সুইট ড্রিম খ্যাত অট্রালিকা কেন না ভাঙা হলোনা তা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
একটি সুত্র জানায়, গত ঈদ-উল-ফিতর এর আগে এই অবৈধ স্থাপনা দখলমুক্ত কার্যক্রম শুরু করার কথা থাকলেও ব্যবসায়ীরা স্থানীয় এমপি প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতার কাছে ঈদের পর এ কার্যক্রম পরিচালনার অনুরোধ করলে তিনি এর সাথে একমত পোষন করে সড়ক ও জনপথ বিভাগকে ব্যবসায়ীদের পক্ষে অনুরোধ করেন। তার অনুরোধের প্রেক্ষিতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ঈদ-উল-আযহা পর্যন্ত এ কার্যক্রম বন্ধ রাখে।