fbpx
হোম অন্যান্য লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি
লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি

লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি

0

টানা বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে গিয়ে বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে । ফলে বাঁধ ভেঙ্গে লালমনিরহাটের কয়েকটি এলাকার বন্যা পরিস্থিতি আরও চরম আকার ধারণ করেছে।

আজ সকাল ৬টায় তিস্তার পানি প্রবাহ ৫৩ দশমিক ০৪ সেন্টিমিটার রেকর্ড করা হয়। যা বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবল বেগে প্রবাহিত হচ্ছে। এরই মধ্যে জেলার বেশ কয়েকটি উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় মাইকিং করে জনসাধারণকে অন্যত্র নিরাপদে থাকার জন্য বলা হচ্ছে।

জানা যায়, ভারতের গজল ডোবা ব্যারেজের বাঁধ খুলে দেওয়ায় তিস্তার পানি প্রবাহের গতি বেড়ে গেছে। ফলে জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা, কুলাঘাট ও মোগলহাট ইউনিয়নের তিস্তা ও ধরলার নদীর চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এতে করে নতুন নতুন বাঁধগুলো ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিসার আলী হায়দার জানান, জেলার ৫টি উপজেলার বন্যা কবলিতদের ত্রাণ দিতে জেলা প্রশাসন থেকে ১১০ মেট্রিক টন জিআর চাল ও আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যার বিতরণও শুরু হয়েছে। শুকনো খাবারের প্যাকেট পর্যাপ্ত না থাকায় দেওয়া যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

তিস্তা ব্যারেজ ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, তিস্তার পানি প্রবাহ মধ্যরাত থেকে সকাল ৬টায় বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্যারেজ রক্ষার্থে সবগুলো জলকপাট খুলে দিয়ে পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে এবং জনসাধারণকে সাবধানতা অবলম্বনের জন্য বিবিন্নভাবে প্রচারণা চলছে বলে জানান তিনি।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *