রাজধানীর প্রায় সব ক্যাসিনো চলতো সম্রাটের ইশারায়
নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের মুখে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগ সভাপতি শোভন ও সাধারণ সম্পাদক রাব্বানীকে পদ থেকে অপসারণের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি বলেন, যুবলীগ নেতারাও বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত। কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।
এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, গণমাধ্যমসহ নানা মহলে আলোচনায় আসতে শুরু করে যুগলীগ নেতাদের নানা অপকর্ম। এসবের মধ্যেই গত ১৮ সেপ্টেম্বর শুরু হয় ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান। প্রথম দিনই গ্রেফতার হন ক্যাসিনো মালিক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। এর দু’দিনের মধ্যেই গ্রেফতার হয় আরো দুই ক্যাসিনো ব্যবসায়ী শফিকুল আলম ফিরোজ ও জি কে শামীম।
তবে ক্যাসিনো ব্যবসায়ীদের ‘গডফাদার’ হিসেবে পরিচিত ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের নাম বার বার উঠে আসলেও এতদিন ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন তিনি।
বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, সিঙ্গাপুরে প্রথম সারির জুয়াড়ি হিসেবে পরিচিতি রয়েছে সম্রাটের। রাজধানীর সব ক্যাসিনোও চলে সম্রাটের ছত্রছায়ায়। প্রতি মাসে চাঁদা বাবদ তার আয় কোটি কোটি টাকা।
ক্যাসিনো কাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠার পর সম্রাট ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়, দেশত্যাগে জারি করা হয় নিষেধাজ্ঞা। গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে টানা ৬ দিন কয়েকশ নেতাকর্মী নিয়ে কাকরাইলে যুবলীগ অফিসে অবস্থান নেন সম্রাট।
এর মধ্যে ২৮ সেপ্টেম্বর সম্রাটকে গ্রেফতারের ইঙ্গিত দিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এর একদিন পরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সুর মেলান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও।
এরপর থেকেই আত্মপোপনে চলে যান সম্রাট। অবশেষে দেশের ক্যাসিনো সম্রাট হিসেবে পরিচিত ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগ সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে তার সহযোগী আরমানসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে শনিবার দিবাগত রাতে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব।