যেভাবে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে সরকার | প্রথম পর্ব
(জামায়াত নিয়ে ‘সরকারের ভাবনা’ বিষয়ে চেঞ্জ টিভি.প্রেস এর ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ প্রকাশিত হলো প্রথম পর্ব)
আইন মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, এ বছরের ডিসেম্বরকে টার্গেটে রেখে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করতে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াত ও তার সব সহযোগী সংগঠনকে বিচারের মুখোমুখি করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন ১৯৭৩-এর সংশোধনের খসড়া প্রস্তুত হয়েছে ৫ বছর আগেই । তবে, চলতি বছর এ খসড়ায় আরো কিছু সংযোজন-বিয়োজন করা হয়। অপরাধী সংগঠন হিসেবে প্রমাণিত হবার পর তাদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি’র কি হবে, এ বিষয়টি অধিকতর স্পষ্ট করা হয়েছে খসড়া আইনে। (খসড়া তৈরীর সঙ্গে সম্পৃক্ত আইনজীবী ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের পুরো সাক্ষাৎকারটি চেঞ্জ টিভি.প্রেস এ প্রকাশ করা হবে ৩ আগস্ট ২০১১৯)
পাঁচ বছর অপেক্ষার পর, অক্টোবরের শেষে অথবা নভেম্বরের শুরুতে আইনের খসড়াটি মন্ত্রীপরিষদে উঠবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রধান আবদুল হান্নান খান বলেন, ২০১৪ সালের ২৭ শে মার্চ অপরাধী সংগঠন হিসেবে জামায়াতের সম্পৃক্ততা প্রমাণে তদন্ত শুরু হয়। কয়েক বছর আগেই সুচারুরূপে সম্পন্ন হয়েছে তদন্তটি । তদন্ত শেষ হবার পরই সেটি প্রসিকিউশন টিমের কাছে জমাও দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম বলেন, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন । এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন ১৯৭৩-এর সংশোধনের খসড়াটি আইনে পরিণত হলেই তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হবে।
এদিকে, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস সূত্রে জানা গেছে, জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে যে মামলাটি বিচারাধীন হয়েছে, সেটিরও শুনানি করা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে আদালতের চলমান ছুটি শেষ হবার পরপরই।
দ্বিতীয় পর্ব : যা আছে জামায়াত নিষিদ্ধের খসড়া আইনে…
পড়ুন ৩ আগস্ট…চেঞ্জ টিভি.প্রেস এ