fbpx
হোম অনুসন্ধান অপরাধবার্তা মুনিয়া-আনভীর; ভাই নিরব, বোন সোচ্চার !
মুনিয়া-আনভীর; ভাই নিরব, বোন সোচ্চার !

মুনিয়া-আনভীর; ভাই নিরব, বোন সোচ্চার !

0

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমানের দুই মেয়ে এক ছেলের মধ্যে সবার ছোট মোসারাত জাহান মুনিয়া। সবার বড় আশিকুর রহমান সবুজ। আর মেজ নুসরাত জাহান।

ছোটবেলা থেকে মুনিয়ার স্বপ্ন অভিনয় করবে। দু’একটি নাটকেও অভিনয় করেছে। স্টার প্লাসের কোনো একজন তাকে প্রস্তাবও দিয়েছিল সিনেমায় কাজ করার জন্য। কিন্তু বাবা মারার যাওয়ার পর তা আর হয়ে উঠেনি। তবে খুব শান্ত ও মেধাবী ছিল মুনিয়া। পারিবারিক জমি সংক্রান্ত ঝামেলায় নুসরাত ও মুনিয়ার থেকে ধীরে ধীরে আলাদা হয়ে যান বড় ভাই সবুজ। আলাদা হয়ে গেলেও মুনিয়া ঢাকা থেকে বাড়ি গেলেও বড় ভাইয়ের বাড়িতে যায় দেখা করার জন্য। মুলত সম্পর্ক কারো সঙ্গে ভালো ছিলনা বড় ভাইয়ের। ঠিক এমনটাই জানালেন বড় ভাই সবুজ নিজে।

চেঞ্জ টিভির ফোনালাপে সবুজ জানান, আমাদের আদরের বোন ছিল মুনিয়া। কিন্তু তাকে সবসময় নুসরাত ও তার স্বামী মিযান দেখাশোনা করতো। তারাই তার বেপারে সিদ্ধান্ত বা খবরাখবর রাখত। তার বেপারে আমার কোনো অধিকার ছিলনা। কারণ তারা আমার কথা মানতে চায় না। এজন্য তাদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালোনা। কিন্তু এতোকিছু যে হয়েছে তা আমি মোটেও জানতাম না, আর জানানো হয়নি। এমনকি এজহারের বিষয়ও জানতামনা।

তিনি আরও বলেন, তারা দুজনে মূলত উচ্চাভিলাষী ছিল। তারা আমাকে বড় ভাই হিসেবে তেমন গুরুত্ব দিতনা। বিস্তারিত…https://www.youtube.com/watch?v=13zmOWYkrx8&t=355s

অন্যদিকে মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত ঘটনা ঘটার দিন থেকেই বোনের মৃত্যুর জন্য বৃহৎ প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে এজহার করেন। তিনি মূলত সব জানেন মুনিয়া ও আনভীরের সঙ্গে পূর্ব সম্পর্কের বিষয়ে। এমনকি বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে নুসরাতকে তার ছোট বোন মুনিয়া থেকে দুরে রেখে আলাদা ফ্লাটে রাখারও ব্যবস্থা করেন।  এবিষয়ে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার স্বামী মিযান জানান, তিনি বারবার অসুস্থ হয়ে পড়ছেন এবং জ্ঞান হারাচ্ছেন। তবে তারা পুলিশের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন বলে জানান তারা।

এর আগে এজহারে দেয়া নুসরাতের তথ্যমতে,  ২০১৯ সালে মোসারাতকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে আসামি রাজধানীর বনানীতে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। সেখানে তাঁরা বসবাস করতে শুরু করেন। ২০২০ সালে আসামির পরিবার এক নারীর মাধ্যমে এই প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পারে। এরপর আসামির মা মোসারাতকে ডেকে ভয়ভীতি দেখান এবং তাঁকে ঢাকা থেকে চলে যেতে বলেন। আসামি কৌশলে তাঁর (বাদী নুসরাতের) বোনকে কুমিল্লায় পাঠিয়ে দেন এবং পরে বিয়ে করবেন বলে আশ্বাস দেন।

এমনকি প্ররোচিত করেন আনভীর। তিনি বাসা ভাড়া নিতে বাদী নুসরাত ও তাঁর স্বামীর পরিচয়পত্র পর্যন্ত নেন। এসবই জেনে বুঝে বোনের সুখের জন্য আনভীরের স্ত্রী থাকা সত্তেও মেলামেশার সুযোগ করে দেন বোন নুসরাত ও তার স্বামী মিযান। কিন্তু পরিশেষে মৃত্যুই যখন তার শেষ ঠিকানা হলো এখন বোনের জন্য নুসরাতের বিচারের দাবি সর্বমহলে উঠলেও আনভীর থাকছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। এরিমধ্যে ৬টি ডায়েরি ও শেষ ফোনালাপের মধ্য দিয়ে অনেক তথ্য উঠে এসেছে এই মৃত্যুর মোটিভ খুঁজে পেতে। এরিমধ্যে নানা সমালোচনাও উঠেছে আনভীরকে বাঁচাতে অনেকে চেষ্টা করছেন। অনেক মিডিয়াও তাকে আসামি শব্দ ও নাম না ব্যবহারের পাশাপাশি বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচয় আড়াল করার অভিযোগ রয়েছে।

বিস্তারিত…https://www.youtube.com/watch?v=XsJrM5sKbO4

উল্লেখ্য, যেভাবে মুনিয়ার লাশ পেল বড় বোন নুসরাত। বিস্তারিত এই লিংকে…https://changetv.press/%e0%a6%ae%e0%a7%8b%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%b6-%e0%a6%af%e0%a7%87%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a7%87%e0%a6%b2/

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *