মিসরের নীল নদে পাওয়া গেছে প্রাচীন সুরক্ষিত কফিন
মিসরের নীল নদের পশ্চিম তীরে পাওয়া গেছে প্রাচীন ২০টি সম্পূর্ণ সুরক্ষিত কাঠের কফিন। সম্প্রতি পুরার্কীতির মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ পুরতাত্ত্বিক নিদর্শন।
দেশটির প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দক্ষিণ মিসরের লুক্সরের ‘বিশাল এক গুপ্তস্থান’ থেকে প্রত্নতাত্ত্বিকরা প্রাচীন মিসরীয়দের সম্পূর্ণ আটকানো ২০টির বেশি কফিন উদ্ধার করেছেন।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (১৬ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জানা যায়, প্রায় অক্ষত অবস্থায় এ কফিনগুলো আবিষ্কৃত হয়েছে। নতুন আবিষ্কার হওয়া এ কফিনগুলোর রং ও অলঙ্কারণের কোনো রূপ পরিবর্তন হয়নি। কফিনগুলোর উজ্জ্বল রং এখনও অটুট রয়েছে, রয়েছে নজরকাড়া নকশা।
নীল নদের পশ্চিম তীরে আল-আসায়েফে প্রাচীন মিসরীয়দের সমাধিস্থান থেকে এ কফিনগুলো আবিষ্কার করা হয়। সমাধির দুই স্তরের বেষ্টনী ভেদ করে উদ্ধার করা হয়েছে কফিনগুল।
নীল নদের পশ্চিমতীরে পাওয়া প্রাচীন ২০টি সম্পূর্ণ সুরক্ষিত কাঠের কফিন ১৫৩৯ খ্রিস্টপূর্ব থেকে মিসর শাসনকারী ১৮তম ফারাও রাজবংশের শাসনামলে আল-আসায়েফের এ সমাধিস্থানটি ব্যবহৃত হতো। প্রাচীন ফারাওদের সমকালীন মিসরীয় অভিজাত শ্রেণি ও উচ্চপদস্থ রাজ-কর্মচারীদের এ স্থানে সমাধি করা হতো।
কফিনগুলো আবিষ্কারের পর বুধবার মিসরীয় প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক মন্ত্রী খালেদ আল-আনানি ও প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক সর্বোচ্চ কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেল মোস্তফা ওয়াজিরি স্থানটি পরিদর্শন করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) মিসরীয় প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, তারা রাজকীয় সমাধির বিভিন্ন আসবাব ও তৈজসপত্র তৈরির জন্য ব্যবহৃত এক শিল্পাঞ্চল আবিষ্কার করেছেন। ৩০টি কারখানা ও সিরামিকস পোড়ানোর জন্য বিশাল এক চুল্লি নিয়ে গঠিত এ শিল্পাঞ্চলটি লুক্সরের ভ্যালি অব মাংকিসে আবিষ্কৃত হয়।