মাহফিলে পুলিশ, উত্তেজিত জনতাকে থামালেন আযহারী
বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের বৃহত্তর খরুলিয়ার দরগাহ পাড়া ষ্টেশন সংলগ্ন মাঠে আলোচিত ইসলামি বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আযহারীর মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এর আগে মিজানুর রহমান আযহারী আসবেন শুনে প্রচণ্ড শৈত্যপ্রবাহ উপেক্ষা করে দূর-দুরান্ত হতে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা মাহফিল প্রাঙ্গণে আসতে শুরু করেন। এ মাহফিলে দেড় লাখের বেশি লোক সমাগম ঘটেছে বলে জানিয়েছেন মাহফিলের আয়োজক কমিটি।
এছাড়া স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আযহারীর ওয়াজ শুনতে কক্সবাজার সদর, রামু, উখিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া ও পেকুয়াসহ বেশ কয়েকটি জেলা-উপজেলা থেকে লোকজন মাহফিলে অংশগ্রহণ করেছেন। যে কারণে রামু থেকে কক্সবাজারসহ পুরো এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। তীব্র যানজটের কারণে আটকে যায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কটিও।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিজানুর রহমান আযহারী বক্তব্য দিতে মঞ্চে উপবিষ্ট হওয়ার একটু পরেই এক পুলিশ সদস্য এসে তাকে থামিয়ে দেন।
এ সময় উপস্থিত মুসল্লিরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। আযহারীকে বক্তব্য না দিতে প্রশাসন থেকে কোনো বার্তা দেয়া হচ্ছে বলে মনে করে উত্তাল হয়ে ওঠে মাহফিল। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন আযহারী নিজেই। ওই পুলিশ সদস্যের বার্তাটি শোনার পর উপস্থিত মুসল্লিদের আশ্বস্ত করেন মিজানুর রহমান আযহারী।
এ সময় আযহারী নিজেই জনতাকে থামতে অনুরোধ করে বলেন, বসেন ভালো কথা বলতেছে। ওয়াজ বন্ধের এমন কোনো বার্তা দেয়া হয়নি। এ মাহফিলকে কেন্দ্র করে পুরো কক্সবাজার শহর জ্যাম হয়ে গেছে এ কথাই জানিয়েছেন ওই পুলিশ সদস্য।
এ মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন সদর-রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান। মাহফিলের প্রধান আকর্ষণ ছিলেন মিজানুর রহমান আযহারী। তিনি ছাড়াও মাহফিলে বক্তব্য রেখেছেন মাওলানা আশরাফুল ইসলাম বিপ্লবী, মাওলানা আব্দুর রহিম ও মাওলানা শফিউল হক জিহাদী প্রমুখ।