মন্দিরে কোরআন শরীফ রাখা ইকবালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ
কুমিল্লায় মন্দিরে কোরআন শরীফ রাখা ইকবালকে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার কক্সবাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিউজ টোয়েন্টিফোর’কে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ইকবালকে কক্সবাজারের কলাতলি সমুদ্র সৈকত থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে কক্সবাজার থেকে কুমিল্লা পাঠানো হচ্ছে।
ইকবালকে গ্রেফতারে পুলিশকে সহযোগিতা করেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনী সরকারি এস এ কলেজের ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান মিশু, তার বন্ধু তারেক রায়হান ও সাজ্জাদুর রহমান অনিক।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে ইকবালকে গ্রেফতার করা হয়। মূলত এ তিনবন্ধু সমুদ্র সৈকতে কৌশলে ইকবালের পরিচয় নিশ্চিত হন। সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অভিযুক্ত ইকবালকে অনুসরণ করেন তারা।
এদিকে কুমিল্লার পূজামণ্ডপে পবিত্র কুরআন শরিফ রাখার ঘটনায় ১৬ মিনিট ৫২ সেকেন্ডের একটি সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ গণমাধ্যমের কাছে সরবরাহ করা হয়।
সেখানে দেখা গেছে অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন মসজিদ থেকে কীভাবে পবিত্র কুরআন শরিফ নিয়ে পূজামণ্ডপে প্রবেশ করেন এবং মণ্ডপ থেকে গদা হাতে নিয়ে ফেরেন।
গণমাধ্যমে আসা নতুন সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ১২ অক্টোবর রাত ১০টা ৩৮ মিনিটে মসজিদে প্রবেশ করেন মাজারের খাদেম ফয়সাল ও হাফেজ হুমায়ুন। এরপর রাত ১০টা ৫৮ মিনিটে মসজিদে প্রবেশ করেন ইকবাল। এসময় খাদেম ফয়সাল ও হাফেজ হুমায়ুন ইকবালের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায়। ঠিক রাত ১১টায় তারা তিনজনই সেখান থেকে বেরিয়ে যান।